এয়ারব্যাগ একধরনের সেফটি ডিভাইজ যা সংঘর্ষের সময় ড্রাইভার এবং যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়। সংঘর্ষের মুহূর্তে এয়ারব্যাগ দ্রুত ফুলে উঠে গাড়ির শক্ত বডি এবং যাত্রীর মধ্যে নরম জায়গা / কুশন তৈরি করার মাধ্যমে এটি যাত্রীদের গুরুতর আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে। এই সম্পূর্ন সিস্টেমটি এয়ারব্যাগ মডিউল, ক্র্যাশ সেন্সর, ডায়াগনস্টিক ইউনিট সহ আরো কিছু কম্পোনেন্ট নিয়ে গঠিত হয়।
যখন কোনো সংঘর্ষ ঘটে তখন ক্র্যাশ সেন্সরগুলো ক্র্যাশ সনাক্ত করার পর ডায়াগনস্টিক ইউনিটে একটি সংকেত পাঠায়। তারপর ডায়াগনস্টিক ইউনিট এয়ারব্যাগ মডিউলে সংকেত পাঠায়, সংকেত পাবার কিছু মিলি সেকেন্ডের মধ্যে এয়ারব্যাগ গুলো ফুলে উঠে এবং সংঘর্ষের বেশিরভাগ শক্তি শোষণ করে নেওয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের উপর সংঘর্ষের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। এরপর এয়ারব্যাগ ফুলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এয়ারব্যাগ এর বাতাস বের হয়ে ডিফ্লেট হতে শুরু করে।
এয়ারব্যাগ গুলো সাধারণত পাতলা নাইলন ফেব্রিকের তৈরি। এয়ারব্যাগ এর মধ্যে সাধারণত সোডিয়াম অ্যাজাইড বা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ ভাঁজ করে গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল, ড্যাশবোর্ড এবং পাশের দরজার মধ্যে স্থাপন করা হয়। সংঘর্ষের সময় ডায়াগনস্টিক ইউনিটের পাঠানো বিদ্যুতিক সংকেতে সোডিয়াম অ্যাজাইড বা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বার্ন হয়ে প্রচুর হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে যা এয়ারব্যাগ ফুলায়। সংকেত পাবার পর এয়ারব্যাগ ফুলতে সময় লাগে প্রায় 30 মিলিসেকেন্ড।
এয়ারব্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ন সেফটি ডিভাইস, তবে এটি কোনোভাবেই সিটবেল্ট এর বিকল্প নয়। সংঘর্ষের সময় সিটবেল্ট যাত্রীকে রার আসনে আগলে রাখতে সাহায্য করে, যা যাত্রীকে গাড়ি ছুড়ে ফেলা বা উচ্চ গতিতে এয়ারব্যাগে আঘাত করা থেকে রক্ষা করে। তাই গাড়িতে এয়ারব্যাগসহ অন্য যতই সেফটি ফিচার থাকুক না কেন সবক্ষেত্রে সিটবেল্ট ব্যবহার করা অনেক জরুরী।