পুরাতন ফোন কেনার আগে যে বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করা উচিত সেটা হলো যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন সেটা আপনার রিকুয়ার্মেন্ট এর সাথে ফিট হয় কিনা। আপনি যেসব কাজ করবেন সেই ফোন দিয়ে সেগুলো ভালোভাবে করা যাবে কিনা এগুলো বিবেচনা করবেন সবার আগে। এর জন্য অনলাইনে সেই ফোনের স্পেসিফিকেশন চেক করে নিলে ভালো হয়। ফোনটি আপনার রিকুয়ার্মেন্ট পূর্ন করলে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো চেক করে নিবেন।
পুরাতন ফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এর ব্যাটারীতে। কারণ একটি ফোন পুরাতন হয়ে গেলে সবার আগে ব্যাটারীতেই ইস্যু দেখা যায়। এজন্য ফোনটি নেওয়ার আগে যথেষ্ট সময় চালিয়ে দেখুন যে ব্যাটারির পারফরম্যান্স ঠিক আছে কিনা।
ফোনের বয়সটাও অবশ্যই জেনে নিন। এক-দের বছরের বেশি বয়সের ফোন না কেনাই ভালো, বরং ফোনের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি এক-দুই মাস অবশিষ্ট থাকলে ভালো হয়, এতে ওয়ারেন্টি শেষ হবার আগেই ফোনে কোনো সমস্যা বের হলে ফ্রীতে ঠিক করে নিতে পারবেন।
এবার ফোনটি ভালোভাবে বাইরে থেকে দেখুন কোন স্ক্র্যাচ ভাঙ্গা ফাটা আছে কিনা এগুলো চেক করে নিন। বিশেষ করে ফোনে ঠিকঠাকভাবে চার্জ হয় কিনা চার্জিং পোর্টে সমস্যা আছে কিনা এগুলো ভালোভাবে চেক করে নিন।
ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, লোকেশন এগুলো চেক করে নিন পুরাতন ফোনে অনেক সময় এগুলো খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার কারণে এগুলো চেক করে নিলে পরে বিপদে পড়তে হবে না। সেই সাথে ক্যামেরাও চেক করে নিন ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ব্যাক ক্যামেরা দুটোই। ফোনের সকল সেন্সর, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, স্পিকার সবগুলো চেক করতে পারবেন Phone Doctor Plus অ্যাপ ব্যবহার করে, এই অ্যাপ প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।
অনেক সময় আপনি যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন সেটা চুরি করাও হতে পারে, এক্ষেত্রে পরে আপনি আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই ফোন কেনার সময় ফোনের সাথে ফোনের বক্স আছে কিনা সেটা চেক করুন। বক্স থাকলে ফোনের আইএমইআই এর সাথে ফোন বক্সের আইএমইআই এর মিল আছে কিনা সেটাও চেক করে নিন। ফোনের বক্স না থাকলে সেই ফোন না কেনাই ভালো।