অ্যাবাকাস পদ্ধতিতে গণিত অনুশীলন-এর সুবিধা অসুবিধা টা বলার চেষ্টা করছি,
সুবিধা:
-
অ্যাবাকাস পদ্ধতিতে যারা ম্যাথ শিখে তারা সত্যিই ৪৩ / ৭৮ / ৯৫ ইত্যাদি ঘরের টেবিল বলতে পারে ঝড়ের বেগে। যে কোনো গুনন খুব তাড়াতাড়ি করতে পারে।
-
এটা পুরাতন চাইনিজ পদ্ধতি। অ্যাবাকাস এ ০ থাকেনা। এক দিকে একটা পুঁতির ভ্যালু ৫ আর অন্য দিকে ৪টি পুঁতির ভ্যালু ১ করে থাকে। মানে ৯ এ গিয়ে শেষ। ওই পুঁতির মুভমেন্ট টা মনে মনে প্রাকটিস করতে হয়। এর ফলে হিসাব করার পদ্ধতি টা আমদের থেকে আলাদা আর জটিল হয় কিন্তু অনেকটা মেকানিকাল, তাই শিখতে পাড়লে ভুলের সম্ভাবনা টা কম থাকে।
-
অ্যাবাকাস সিস্টেম এ হিসেব করলে হিসাব এ ভুল কম হওয়ায় অঙ্কের প্রতি ভয় টা কমে। ছোট বেলায় আমাদের অঙ্কে কম নাম্বার পাওয়ার আসল কারণ কিন্তু হিসাব ভুল করা।
দয়া করে মনে রাখবেন:
যেহেতু এটা সম্পূর্ন আলাদা পদ্ধতি তাই বাড়ির কেউ প্রথমটুকু না শিখলে বাচ্চার পক্ষে সপ্তাহে একদিন অ্যাবাকাস স্কুলে গিয়ে আয়ত্ত্ব করা খুব কঠিন। বয়স কম হলে তাও শিখে নিতে পারে নইলে ক্লাস সিক্স এ এসে ইংলিশ শিখে সাধারন ছাত্র যতটা সমস্যায় পরে সেটাই এখানে হয়।
অসুবিধা:
-
প্রথমে অনেক টাইম দিতে হবে বাচ্চা কে যেটা বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন।
-
এতে শুধুই ক্যালকুলেশন করার গতি বারে কিন্তু শুধু এটুকুই জীবনে খুব বেশী লাভ হবে কিনা জানি না। বুদ্ধি বা কনসেপ্ট বারে না।
-
এখন অধিকাংশ পরীক্ষায় (এমনকি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষাগুলোতেও) ক্যালকুলেটর করার অনুমতি থাকে। ফলে আগের মতো ক্যালকুলেশন মিসটেক নিয়ে ভাবতে হয় না।
-
ছোট বেলায় যখন এটা স্কুলে লাগে তখন স্কুল এপ্লাই করার উপায় নেই। কারণ পুরো অঙ্ক করে না দেখলে নাম্বার কাটা যায়।
-
সবচেয়ে বড় সমস্যা অ্যাবাকাস এর কোর্স শেষ হয়ে গেলে প্র্যাকটিস এর অভাবে এটা ভুলে গেলে পরে যখন দরকার পরবে তখন আর কোনো কাজের থাকবে না এটা।
তাই আমার মনে হয় যদি বাচ্চা প্রথম এক দুই মাসে অ্যাবাকাস শিখে ফেলতে পারে, তাহলে শিখলে লস নেই, নয়ত পুরোটাই সময় আর পয়সা নষ্ট।