আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা বলছে তামার পাত্রে অনেকক্ষণ জল রাখলে তা থেকে সামান্য তামার আয়ন জলে মিশতে পারে। এমনিতেই আমাদের পুষ্টিতে ট্রেস উপাদান হিসাবে তামার কিছু উপকারী ভূমিকা আছে। কিন্তু বেশি মাত্রায় তামা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে গৃহীত হলে কপার টক্সিসিটি তৈরি করতে পারে।
শরীরে প্রতিটি খনিজেরই একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চাহিদা রয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে কোনও খনিজ দেহে প্রবেশ করলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তামার পাত্রে সারারাত জল রেখে সকালে উঠে সেই জল খেলেও কিন্তু একই ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত তামা দেহে প্রবেশ করার কারণে কপার টক্সিসিটি তৈরি হয়। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারাদিনে ১০ মিলিগ্রামের বেশি তামা দেহে প্রবেশ করলেই একাধিক জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।