সিএনজি এবং এলপিজি উভয়ই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে পেট্রল বা ডিজেলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উভয় জ্বালানির বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার গুলো উল্লেখ করা হলো।
সিএনজি - কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস মূলত মিথেন গ্যাস যা একটি জ্বালানী ট্যাঙ্ক বা সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে (সাধারণত প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে 200 কেজি পর্যন্ত) কমপ্রেস করে সংরক্ষণ করা হয়। সিএনজি সাধারণত পেট্রল বা ডিজেলের চেয়ে কম ব্যয়বহুল এবং কম গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং বায়ু দূষণ করে। সিএনজি সাধারণত ট্যাক্সি, বাস এবং ডেলিভারি ভ্যানের মতো হালকা-শুল্ক গাড়ির পাশাপাশি কিছু বড় ট্রাক এবং বাণিজ্যিক যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। সিএনজির জন্য একটি ডেডিকেটেড ফুয়েলিং স্টেশন প্রয়োজন যেখানে গ্যাস কমপ্রেস করে বিতরণ করা হয়। সিএনজি এর ফুয়েলিং স্টেশনের সংখ্যা অনেক কম।
এলপিজি - লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস একটি হাইড্রোকার্বন জ্বালানী যা প্রোপেন বা বিউটেন দিয়ে তৈরি। এলপিজিও সিএনজির মতো কমপ্রেস করে জ্বালানী ট্যাঙ্কে তরল হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়। এলপিজি সাধারণত সিএনজির চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল, তবে পেট্রল বা ডিজেলের চেয়ে কম ব্যয়বহুল। এলপিজি গ্যাসোলিন বা ডিজেলের তুলনায় কম গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন করে, কিন্তু সিএনজির চেয়ে বেশি উৎপন্ন করে। এলপিজি সাধারণত কুকিং, হিটিং সিস্টেম, ট্যাক্সি, বাস এবং ডেলিভারি ভ্যানের মতো কিছু যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। সিএনজি ফুয়েলিং স্টেশনের তুলনায় এলপিজি ফুয়েলিং স্টেশনের সংখ্যা বেশি সাধারণত, তবে গ্যাসোলিন বা ডিজেল স্টেশনগুলির তুলনায় এখনও কম।
২৮৮ টি প্রশ্ন
২৭৬ টি উত্তর
২৯ টি মন্তব্য
৪৫ জন সদস্য