জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এটা মূলত আমাদের শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি পদ্ধতি। উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রজননকে ধীর করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এভাবে উচ্চ তাপমাত্রা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ হিউম্যান বডির সাধারণ তাপমাত্রা 36.8°C বা 98°F। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে আমাদের শরীর এই তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আগে যেখানে শরীরের তাপমাত্রা 36.8°C থাকলে আমাদের স্বাভাবিক মনে হতো এখন এতে ঠান্ডা অনুভূত হবে। ফলে আমাদের শরীর তার তাপমাত্রা বর্তমান স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পৌঁছাতে বিভিন্ন উপায়ে তাপ উৎপাদন করে। ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তাপমাত্রা শরীরের বর্তমান সাধারণ তাপমাত্রায় না পৌঁছানোয় ঠান্ডা অনুভূত হয়। এভাবেই মূলত জ্বর আসলে শরীর গরম থাকে কিন্তু তারপরেও ঠান্ডা লাগে।