বর্তমানে সবচেয়ে দামি পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয় অ্যান্টি-ম্যাটারকে। অ্যান্টি-ম্যাটার এর সাব এটমিক কণা (ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন) গুলো সাধারণ পদার্থের মতই ভর সম্পন্ন কিন্তু বিপরীত চার্জ সম্পন্ন। সাধারণ পদার্থে যেখানে ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ ধারণ করে অ্যান্টি-ম্যাটার এ ইলেকট্রন পজিটিভ চার্জ ধারণ করে। যার কারণে অ্যান্টি-ম্যাটার এর ইলেকট্রনকে পজিট্রন বলা হয়ে থাকে। একইভাবে অ্যান্টি-ম্যাটার এর প্রোটন নেগেটিভ চার্জ ধারণ করে।
অ্যান্টি-ম্যাটার উৎপাদন এবং স্টোর করা অবিশ্বাস্য পরিমাণ চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল। এটা উৎপাদন করতে অনেক অ্যাডভান্সড পার্টিকেল এক্সেলারেটর এর প্রয়োজন হয়। এর এক গ্রাম উৎপাদনের ব্যায়ও কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং টেকনিকাল চ্যালেঞ্জ এর কারণে একে শুধুমাত্র সায়েন্টিফিক রিসার্স এর জন্য অনেক অল্প পরিমাণে উৎপাদন করা হয়।
সাধারণ ম্যাটার (পদার্থ) এবং অ্যান্টি-ম্যাটার এর বৈশিষ্ট্যের এই বৈপরীত্যের কারণে ম্যাটার এবং অ্যান্টি-ম্যাটার সংস্পর্শে আসলে উভয়ের মধ্যে ফ্ল্যাশ ওভার ঘটে উভয়েই নিঃশেষ হয়ে যায় এবং তাদের ভরের সমান এনার্জি রিলিজ করে। অ্যান্টি-ম্যাটার সফল ভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেহেতু এটি সাধারণ ম্যাটার এর সংস্পর্শে আসলেই ফ্ল্যাশ ওভার ঘটে তাই এখন পর্যন্ত এমন কোনো পাত্র তৈরি করা যায়নি যেটায় অ্যান্টি-ম্যাটার ধারণ করা সম্ভব। অ্যান্টি-ম্যাটার যেহেতু ফ্ল্যাশ ওভারের সময় অনেক এনার্জি রিলিজ করে তাই ভবিষ্যতে এটি নিউক্লিয়ার জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।