ইলেকট্রিক্যাল - প্রশ্ন উত্তর

avatar
+৩ টি ভোট
কনসেনট্রেটেড সোলার পাওয়ার মনে কি?

জী Concentrated solar power এক ধরনের সৌর বিদ্যুৎ এর প্রযুক্তি। এটি সৌর বিদ্যুৎ এর ন্যায় সূর্যের আলোর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তবে সাধারণ সৌর বিদ্যুৎ এর থেকে এর কাজ করার ধরন কিছুটা আলাদা।


Concentrated মনে কেন্দ্রীভূত। প্রায় কয়েক হাজার আয়না এর ফোকাস এক স্থানে কেন্দ্রীভূত করে সৌর শক্তি উৎপন্ন করা হয় একই কনসেনট্রেটেড সোলার পাওয়ার বলে। কয়েক হাজার আয়নার আলো এক স্থানে কেন্দ্রীভূত করে যে তাপ শক্তি পাওয়া যায় সেটা ব্যাবহার করা হয় লবণ কে মেল্ট করার জন্য। যা মোল্টেন সল্ট নামে পরিচিত। মেল্টেন সল্ট ব্যবহার করে এর তাপ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্টিম তৈরি করা হয়। এর পরে এই স্টিম থেকে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

avatar
+৩ টি ভোট
ইনস্ট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার বলতে কি বুঝায়?
ইনস্ট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার হল এমন একটি ট্রান্সফরমার যা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক পরিমাপ যন্ত্রের সাথে ব্যবহার করা হয়। এটি উচ্চ ভোল্টেজ, কারেন্ট বা পাওয়ারকে নিরাপদ এবং পরিমাপযোগ্য মাত্রায় পরিবর্তন করে।
avatar
+৩ টি ভোট
ডিসি সিরিজ মোটর নো-লোডে ব্যবহার করা হয়না কেন?
ডিসি সিরিজ মোটর নো-লোডে ব্যবহার করা হয় না কারণ এতে লোড না থাকলে মোটরের আবর্তন বেগ খুব বেশি বেড়ে যায়। এতে মোটরের কয়েল ও অন্যান্য অংশের ক্ষতি হতে পারে।
avatar
+৩ টি ভোট
ট্রান্সফরমার কি? ট্রান্সফরমার কাকে বলে?
ট্রান্সফর্মার হল একটি ইলেকট্রো-স্ট্যাটিক যন্ত্র যা কোনো বিদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই তড়িৎচৌম্বকীয় আবেশের মাধ্যমে এক কয়েল থেকে আরেক কয়েলে ভোল্টেজ আবেশিত করে। এটি তড়িৎচৌম্বকীয় আবেশের মূলনীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। ট্রান্সফরমার এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর ভোল্টেজ বাড়ানো কিংবা কমানো যায়।
avatar
+৩ টি ভোট
ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট টেস্টে কোন সাইডে সর্ট সার্কিট করা হয় এবং কেন?
ট্রান্সফরমার শর্ট সার্কিট টেস্টে সাধারণত লো ভোল্টেজ সাইডে শর্ট সার্কিট করা হয়। কারণ, এই সাইডে শর্ট সার্কিট করলে ট্রান্সফরমারের ইন্ডাক্ট্যান্সের প্রভাব কম হয়। ফলে, ট্রান্সফরমারের কপার লস সহজেই নির্ণয় করা যায়।
avatar
+৩ টি ভোট
ক্যাপাসিটিভ লোডের সাথে ইন্ডাকটিভ লোড সংযোগ করলে পাওয়ার ফ্যাক্টর বাড়বে নাকি কমবে?
ক্যাপাসিটিভ লোডের সাথে ইন্ডাকটিভ লোড সংযোগ করলে পাওয়ার ফ্যাক্টর বাড়বে।
avatar
+৩ টি ভোট
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কত হতে কত পর্যন্ত হতে পারে?
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ০ থেকে ১ পর্যন্ত হতে পারে।
avatar
+৩ টি ভোট
লোডশেডিং বলতে কি বুঝায়?
লোডশেডিং বলতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনায় চাহিদার ঘাটতি পূরণের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাকে বোঝায়। সাধারণত, লোডশেডিং করা হয় যখন বিদ্যুতের উৎপাদন বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় কম থাকে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন জ্বালানির অভাব, বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া, বা বিদ্যুৎ গ্রিডের ক্ষমতা সীমিত হওয়া।
avatar
+৩ টি ভোট
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান সর্বোচ্চ কত হতে পারে?
পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান সর্বোচ্চ "১" হতে পারে।  পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। একটিভ পাওয়ার হল বিদ্যুতের প্রকৃত ব্যবহার। এ্যপারেন্ট পাওয়ার হল বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মোট বিদ্যুৎ। পাওয়ার ফ্যাক্টর ১ এর বেশি হতে হলে প্রকৃত ব্যবহৃত পাওয়ার সরবরাহকৃত পাওয়ার এর তুলনায় বেশি হতে হবে, যেটা কখনো সম্ভব না। তাই পাওয়ার ফ্যাক্টর এর সর্বোচ্চ মান ১।
+৩ টি ভোট
ইন্ডাক্টিভ লোডের সাথে ক্যাপাসিটিভ লোড সংযোগ করলে পাওয়ার ফ্যাক্টর বাড়বে নাকি কমবে?
ইন্ডাক্টিভ লোডের পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং এবং ক্যাপাসিটিভ লোডের লিডিং হয়, ফলে উভয়ের প্রতিক্রিয়ায় পাওয়ার ফ্যাক্টর ১ এর কাছাকাছি আসে। সুতরাং, ইন্ডাক্টিভ লোডের সাথে ক্যাপাসিটিভ লোড সংযোগ করলে পাওয়ার ফ্যাক্টর বাড়বে।
avatar
+৩ টি ভোট
ইলেকট্রিসিটি কি? এবং এর ব্যবহার এর বিভিন্ন ক্ষেত্র
ইলেকট্রিসিটি হল এক ধরনের অদৃশ্য শক্তি যা তড়িৎ আধানের বা ইলেকট্রনের প্রবাহের মাধ্যমে কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
+২ টি ভোট
অনেক জায়গায় উচু বিদ্যুৎ লাইনের তারে লাল এবং হলুদ রঙের প্লাস্টিক বল লাগানো হয় কেন?
ট্রান্সমিশন লাইনে লাগানো এসব বলকে "মার্কার বল" বা "মার্কার গোলক" বলা হয়ে থাকে। মূলত হেলিকপ্টার এর মতো নিম্ন উচ্চতায় চলাচলকারী এয়ারক্রাফট  চালক যেন সহজে ট্রান্সমিশন লাইনের তার সনাক্ত করতে পারে এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকতে পারে সেজন্য এই বলগুলো দেওয়া হয়। দূর থেকে লাইনের তারগুলো সহজে সনাক্ত করা যায়না, কিন্তু এই বলগুলো সহজেই খালি চোখে সনাক্ত করা যায়, তাই পাইলট যাতে সহজে ট্রান্সমিশন লাইনের তারের অবস্থান সনাক্ত করতে পারে সেজন্য এগুলো দেওয়া হয়।
avatar
+৪ টি ভোট
ক্যাপাসিটর ব্যাংক কিভাবে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করতে সাহায্য করে?

ক্যাপাসিটর ব্যাংকিং পাওয়ার ফ্যাক্টর সংশোধনের জন্য সবচেয়ে সাধারণ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। ক্যাপাসিটর ব্যাংক কিভাবে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করে সেটা জানার আগে পাওয়ার ফ্যাক্টর কি সেটা জানা উচিৎ। পাওয়ার ফ্যাক্টর মূলত ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর মধ্যবর্তী কোনের কোসাইন (cos) এর মান। আমরা জানি cos এর ক্ষেত্রে কোন যত ছোট হয় মান তত বড় হয়। অর্থাৎ ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর মধ্যবর্তী কোন বৃদ্ধি পেলে পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কমে যায়।

ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর মধ্যবর্তী কোন সৃষ্টি করে রিঅ্যাক্টিভ পাওয়ার। রিঅ্যাক্টিভ লোড আবার দুই ধরনের ক্যাপাসিটিভ এবং ইন্ডাক্টিভ। ক্যাপাসিটিভ লোডের কারেন্ট লিডিং অর্থাৎ উর্ধমুখি এবং ইন্ডাক্টিভ লোডের কারেন্ট ল্যাগিং অর্থাৎ নিন্মমুখি হয়। সাধারণত বেশিরভাগ সিস্টেমের পাওয়ার ফ্যাক্টর কম হওয়ার পিছনে মূল কারণ হয়ে থাকে বেশি ইন্ডাক্টিভ লোড ব্যবহারের কারণে, কেননা ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্ডাক্টিভ লোড বহুল ব্যবহৃত হয়।


সিস্টেমের ইন্ডাক্টিভ লোডকে ব্যালেন্স করার জন্য ক্যাপাসিটিভ লোড হিসেবে ক্যাপাসিটর ব্যাংক সিস্টেমের সাথে প্যারালালে সংযোগ করা হয়। ফলে ইন্ডাক্টিভ লোডের কারেন্ট ল্যাগিং অর্থাৎ নিন্মমুখি এবং ক্যাপাসিটিভ লোডের কারেন্ট লিডিং অর্থাৎ উর্ধমুখি হওয়ায় এরা একে অপরকে ক্যানসেল করার মাধ্যমে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর মধ্যে কোন পার্থক্য কমে যায় ফলে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত হয়। এভাবেই ক্যাপাসিটর ব্যাংক পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার কাজ করে।
avatar
+৪ টি ভোট
পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার পদ্ধতি কী কী?

পাওয়ার ফ্যাক্টর বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিম্ন পাওয়ার ফ্যাক্টর ইঙ্গিত করে যে পাওয়ার সিস্টেমে অ্যাক্টিভ পাওয়ার এর চেয়ে রিঅ্যাক্টিভ পাওয়ার বেশি ব্যবহার হচ্ছে, যার ফলে পাওয়ার অপচয়, ক্ষমতা হ্রাস এবং বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য, পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। পদ্ধতিগুলো নিন্মরুপ।


  • ক্যাপাসিটর ব্যাংক
  • সিঙ্ক্রোনাস কনডেন্সার
  • স্ট্যাটিক VAR কম্পেন্সেটর
  • ফেজ অ্যাডভান্সার
  • হারমনিক ফিল্টার
  • পাওয়ার ফ্যাক্টর সংশোধনী সার্কিট
  • লোড ব্যালেন্সিং
avatar
+৫ টি ভোট
ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর (Magnetic Contactor) কি? এর কাজ কি?

ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর মূলত একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সুইচ যেটা ইলেকট্রিক সার্কিটের কারেন্ট প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহৃত হয়। এটা একধরনের বড় রিলে যা বিশেষভাবে উচ্চ ভোল্টেজ এবং কারেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয়। ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর এর কিছু ব্যবহার নিন্মরুপ।


  • মোটর স্টার্টারে
  • পাওয়ার সাপ্লাই সুইচিং
  • অন্যান্য উচ্চ পাওয়ার বিদ্যুতিক অ্যাপ্লিকেশনে

ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর মূলত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।
  • কয়েল: কয়েল টি এনার্জাইজ হওয়ার মাধ্যমে ম্যাগনেটিক কন্ট্রোলার সয়ংক্রিয় হয়। কয়েল টি সাধারণত একটি কন্ট্রোলার সার্কিট যেমন পুশ বাটন কিংবা টাইমার এর সাথে যুক্ত থাকে।
  • আর্মেচার: আর্মেচার হলো ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর এর চলমান অংশ। কয়েল এনার্জাইজ হলে আর্মেচার কয়েলের তৈরি ম্যাগনেটিক ফিল্ডের প্রতি আকর্ষিত হয়ে সেদিকে সরে যায় এবং কন্টাক্ট পুর্ন করে। আবার কয়েল ডিএনার্জাইজ হলে এটি স্প্রিং এর সহায়তায় কন্টাক্ট বিচ্ছিন্ন করে।
  • কন্টাক্ট সমুহ: কন্টাক্ট গুলোই সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ চালু কিংবা বিচ্ছিন্ন রাখে। কন্টাক্ট দুই ধরনের হয়, নরমালি ওপেন (NO) এবং নরমালি ক্লোজ (NC)। নরমালি ওপেন কন্টাক্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণভাবে কন্টাক্ট বিচ্ছিন্ন থাকে এবং কয়েল এনার্জাইজ হলে কন্টাক্ট পুর্ন করে। অপরদিকে নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণভাবে কন্টাক্ট পুর্ন থাকে এবং কয়েল এনার্জাইজ হলে কন্টাক্ট বিচ্ছিন্ন হয়।

কার্যপদ্ধতি: ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর এর কয়েল এনার্জাইজ হলে এটি একটি ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে। এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড আর্মেচারকে আকর্ষিত করে। ফলে আর্মেচার কয়েল এর দিকে সরে যায় এবং নরমালি ওপেন কন্টাক্ট গুলো পুর্ন করে এবং নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট গুলো বিচ্ছিন্ন করে। ফলে পুর্ন কন্টাক্ট গুলো দিয়ে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহিত হয়। একইভাবে যোখিন কয়েল ডিএনার্জাইজ করা হয় তখন এর বিপরীত ঘটে।
avatar
+৪ টি ভোট
সিনক্রনাস মটর কাকে বলে?
সিনক্রোনাস মোটর এমন একধরনের মোটর যা সর্বদা একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘোরে। এই গতি হয় মোটরের ঘুর্ণয়মান ম্যাগনেটিক ফিল্ড (RMF) এর গতির সমান। সিনক্রোনাস মোটরের রোটরে ফিল্ড কয়েলে ডিসি সরবরাহ দিয়ে স্থির ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা হয়। রোটরের স্থির ম্যাগনেটিক ফিল্ড স্টেটরের ঘুর্ণমান ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে লক হয়ে একই সাথে ঘোরে। এভাবেই সিনক্রোনাস মোটর রোটেটিং ম্যাগনেটিক ফিল্ডের গতিতে ঘুরতে থাকে।
avatar
+৩ টি ভোট
পাওয়ার ফ্যাক্টর কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

কোনো সিস্টেমের অ্যাক্টিভ পাওয়ার বা কার্যকরী পাওয়ার (kW) এবং আপ্যারেন্ট পাওয়ার (kVA) এর অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলা হয়। অন্য কথায় সিস্টেমের ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যে ইলেকট্রিকাল কোণের cosine মানই সিস্টেমের পাওয়ার ফ্যাক্টর। পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকার।

  1. ইউনিটি: সিস্টেমের অ্যাক্টিভ পাওয়ার এবং আপ্যারেন্ট পাওয়ার সমান হলে পাওয়ার ফ্যাক্টর ইউনটি হয়। পিওর রেজিস্টিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয়।
  2. ল্যাগিং: ভোল্টেজের তুলনায় কারেন্ট পিছিয়ে থাকলেও পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হয়। ইন্ডাক্টিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হয়।
  3. লিডিং: ভোল্টেজের তুলনায় কারেন্ট এগিয়ে থাকলেও পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয়। ক্যাপাসিটিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয়।
avatar
+৩ টি ভোট
লাইন ভোল্টেজ এবং ফেজ ভোল্টেজের মধ্যে পার্থক্য কি?

ফেজ ভোল্টেজ: ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের যেকোনো একটি ফেজ এবং নিউট্রাল/গ্রাউন্ড এর মধ্যে যে ভোল্টেজ পার্থক্য সেটা ফেজ ভোল্টেজ।


লাইন ভোল্টেজ: ট্রান্সমিশন বা ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের যেকোনো দুটি ফেজ এর মধ্যে যে ভোল্টেজ পার্থক্য সেটা লাইন ভোল্টেজ।


আমরা জানি যে ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইন গুলোতে তিনটি করে ফেজ থাকে। আর পাওয়ার সিস্টেমে যতটি ফেজ থাকে তাদের মধ্যে 360° ফেজ কোন হিসেবে ভাগ হয়ে যায়। যেমন তিন ফেজ লাইনের ক্ষেত্রে 360 কে তিন দিয়ে ভাগ করলে 120 পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনটি ফেজের মধ্যে প্রতি দুইটি ফেজ এর মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ব্যবধান 120°। তিনটি ফেজের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল অবস্থানকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে নিচের মত চিত্র পাওয়া যাবে। এখানে তিনটি ফেজ এর যে মূল বিন্দু সেটাই নিয়ট্রাল/গ্রাউন্ড। অর্থাৎ কোনো ফেজ এর প্রান্তবিন্দু এবং নিউট্রাল এর পার্থক্য হলো ফেজ ভোল্টেজ এবং দুটি ফেজ এর প্রন্তবিন্দু এর পার্থক্য লাইন ভোল্টেজ।


image


লাইন ভোল্টেজ এবং ফেজ ভোল্টেজ এর সম্পর্ক হলো লাইন ভোল্টেজ ফেজ ভোল্টেজের √3 গুন। অর্থাৎ ফেজ ভোল্টেজকে √3 দিয়ে গুন করলে লাইন ভোল্টেজ পাওয়া যাবে। একইভাবে লাইন ভোল্টেজকে √3 দিয়ে ভাগ করলে ফেজ ভোল্টেজ পাওয়া যাবে।

avatar
+৩ টি ভোট
রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যান ধীরে চালালে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়?
আপনি যদি বর্তমানে বাজারে যে সাধারণত যে রেগুলেটরগুলো পাওয়া যায় (ইলেকট্রনিক টাইপ) সেগুলো ব্যবহার করেন তাহলে উত্তর হচ্ছে "হ্যা, রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যানের গতি কমালে ফ্যান কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে"।

রেগুলেটর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। ইলেকট্রিক রেগুলেটর এবং ইলেকট্রনিক রেগুলেটর।

ইলেকট্রিক রেগুলেটর মূলত শুধু একটি পটেনশিওমিটার (ভেরিয়েবল রেজিস্টর) নিয়ে গঠিত। অর্থাৎ এধরনের রেগুলেটর ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্স এর মাধ্যমে কারেন্ট লিমিট করে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ফ্যান কম পাওয়ার ব্যবহার করে কিন্তু অবশিষ্ঠ পাওয়ার রেগুলেটরের মধ্যে হিট আকারে অপচয় হয়। অর্থাৎ মোটের উপর ফ্যান যে গতিতেই ঘোরানো হোক না কেন বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।

অপরদিকে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর হাই স্পিড সুইচিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ রেখে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। ইলেকট্রনিক রেগুলেটর মূলত একটি রেজিস্টর, একটি পটেনশিওমিটার, একটি ডায়াক এবং একটি ট্রায়াক নিয়ে গঠিত। ইলেকট্রিক রেগুলেটরের ন্যায় সরাসরি কারেন্ট প্রবাহে লিমিট করার পরিবর্তে কত সময় সাপ্লাই থাকবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ এসি কারেন্ট এর প্রতি হাফ সাইকেল এর কিছু অংশে ফ্যানের সাপ্লাই বন্ধ রাখে। এক্ষেত্রে উচ্চ গতিতে সুইচিং এর কাজ করে এর মধ্যে থাকা ট্রায়াক এবং কখন সুইচিং হবে সেটা নিয়ন্ত্রিত হয় ক্যাপাসিটর এবং পটেনশিওমিটার এর মাধ্যমে। যেহেতু ইলেকট্রনিক রেগুলেটর কারেন্ট প্রবাহ লিমিট করার পরিবর্তে সাপ্লাই ই বন্ধ রাখে তাই পাওয়ার অপচয় হয়না। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যান ধীরে চালালে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
avatar
+২ টি ভোট
রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম কি? এটি কিভবে কাজ করে?
রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম এমন একটি ব্রেকিং টেকনোলজি, এখানে যানবাহন গতিশীল থাকা অবস্থায় ব্রেক করার সময় গাড়ির গতিশক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই প্রযুক্তি সাধারণত ইলেকট্রিক এবং হাইব্রিড (বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি উভয় চালিত) যানবাহনে ব্যবহার করা হয়। উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে স্টোর করে পুনরায় ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে শক্তির অপচয় কমে এবং মোটের উপর সম্পূর্ণ সিস্টেম এর দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

সাধারণত বৈদ্যুতিক যানবাহন গুলিতে সিনক্রোনাস মোটর ব্যবহার করা হয় যা জেনারেটর হিসেবেও কাজ করে। ড্রাইভার যখন গাড়ির ব্রেক প্রয়োগ করে তখন গাড়ির মোটর জেনারেটর মোড এ চলে যায় এবং গাড়ির গতি শক্তির ফলে মোটর ঘুরার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যাটারিতে স্টোর করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।

ব্রেকিং এর সময় মোটরটি যেহেতু জেনারেটর হিসেবে কাজ করছে তাই জেনারেটর থেকে ব্যাটারিতে বিদুৎ প্রবাহের ফলে এতে ব্যাক ইএম (EMF) উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন ব্যাক ইএমএফ এর ফলে মোটরে ব্যাক টর্ক উৎপন্ন হয় যা গাড়ির গতির বিপরীতে ক্রিয়া করে ফলে এটি গাড়ি ধির করতেও সাহায্য করে। এছাড়া গাড়ি দ্রুত ব্রেক করার জন্য যখন ব্রেক হার্ডলি প্রেস করা হয় তখন এর পাশাাশি ব্রেক প্যাডও ব্যবহার হয়।
আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন

২৮৭ টি প্রশ্ন

২৭৬ টি উত্তর

২৯ টি মন্তব্য

৪৫ জন সদস্য

এই মাসের সেরা সদস্যগন

  1. avatar

সাম্প্রতিক ব্যাজ সমুহ

alaminhossain ১৯ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever ১৫ ৬৩ ২২৭ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
...