সাধারণ জ্ঞান - প্রশ্ন উত্তর

avatar
+২ টি ভোট
সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইটের আগে ডিগ্রী লেখা হয় কিন্তু কেলভিনের আগে লেখা হয়না কেন?
কেলভিন তাপমাত্রা স্কেলে ডিগ্রীতে পরিমাপ করা হয় না, কারণ এটি একটি পরম স্কেল। পরম স্কেলে, শূন্য বিন্দু হল তাপমাত্রার সর্বনিম্ন সম্ভাব্য মান। কেলভিন স্কেলে, শূন্য বিন্দু হল -273.15 ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এই স্কেলে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে যেতে পারেনা।
avatar
+৩ টি ভোট
এক গ্যালন সমান কত লিটার?
গ্যালন দু'ধরনের হয়ে থাকে: ইম্পেরিয়াল গ্যালন এবং মার্কিন (ইউএস) গ্যালন। এক ইম্পেরিয়াল গ্যালন সমান ৪.৫৪৬০৯ লিটার এবং এক মার্কিন গ্যালন সমান ৩.৭৮৫৪১১৭৮৪ লিটার।
avatar
+৩ টি ভোট
এশিয়ান টাইগার মনে কি?

এশিয়ার মধ্যে যেসব দেশ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে তাদেরকে বলা হয় "Four Asian Tiger." হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান এই চারটি দেশ কে একত্রে "ফোর এশিয়ান টাইগার" বলা হয়।

avatar
+৩ টি ভোট
মনোপলি মানে কি?

মনোপলি হল এমন এক ধরনের মার্কেট স্ট্রাকচার যেখানে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিবর্গ  অথবা প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির যখন তেমন কোন প্রতিদ্বন্দি থাকে না তখন সেই কোম্পানিটি একপ্রকারের মনোপলি তৈরি করতে পারে ।


এখানে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাইক্রোসফটের কথা, মাইক্রোসফট এমনই একটি কোম্পানি যে এখনো পর্যন্ত তার মনোপলি ধরে রাখতে পেরেছে। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম 75% মার্কেট শেয়ার নিয়ে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে গুগলও তার এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে মনোপলি তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মনোপলি তৈরীর অন্যতম উদাহরণ বলা যেতে পারে গ্রামীণফোনকে।

  • কোন কোম্পানি মনোপলি তৈরি করতে পারলে তা ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • যেহেতু কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তাই উক্ত কোম্পানির যেকোনো পণ্যের দাম ইচ্ছামত বাড়িয়ে দিতে পারে।
avatar
+৩ টি ভোট
কোন ইংরেজি বাক্যে সবগুলো অক্ষর রয়েছে?

"The quick brown fox jumps over the lazy dog" এই ইংরেজি বাক্যে সবগুলো ইংরেজি শব্দ বর্ণ আছে। এধরনের বাক্যকে প্যানগ্রাম বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই বাক্যটি বিশেষ করে টাইপিং শেখাতে ব্যবহার করা হয় অনেক বেশি। এছাড়াও এর আরো কিছু ব্যবহার আছে। 

  • টাচটাইপিং: দশ আঙ্গুলে টাইপিং করার পদ্ধতিকে টাচটাইপিং বলা হয়। টাচটাইপিং'এ এই বাক্যটি অনেক সহায়ক হতে পারে।
  • কিবোর্ড টেস্ট: কিবোর্ড এর কি গুলো ঠিকঠাক আজ করে কি না সেটা বুঝতেও এই বাক্যটি অত্যন কাজের প্রমানিত হতে পারে।
  • ফন্ট প্রিভিউ: কোন ফন্ট এর বিভিন্ন বর্ন গুলো কেমন দেখাবে সেটা বুঝতেও এই বাক্যটি অত্যন্ত কাজের বলা যায়।
avatar
+৩ টি ভোট
বজ্রপাতে আলো আগে শব্দ পরে হয় কেন?
বজ্রপাতে শব্দ পরে শুনি কেন এর সিম্পল উত্তর হলো শব্দের থেকে আলোর গতি অনেক বেশি। আলোর গতি হলো সেকেন্ড এ তিন লক্ষ কিলোমিটার আর অপরদিকে শব্দের গতি হলো ৩৪০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। এখন ২-৩ কিলোমিটার দুরে কোথাও বজ্রপাত হলে আলো তো আমরা সাথে সাথেই দেখতে পাবো যেহেতু আলোর গতি সেকেন্ডএ তিন লক্ষ কিলোমিটার, অপর দিকে ৩ কিলোমিটার থেকে শব্দ আমাদের কানে আসতে প্রায় ৯ সেকেন্ড সময় লাগবে।

বজ্রপাতে শব্দ ও সময় কে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আমরা এভাবে হিসাব করে জানতে পারি যে বজ্রপাতটি কত দুরে হলো। তবে এখানে একটি কথা জেনে রাখা দরকার যে বিভিন্ন তাপমাত্রায় শব্দের গতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
avatar
+৪ টি ভোট
পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান কে?

কাক হলো পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান। ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম কাক ও নুড়িপাথরের গল্প। সেখানে বিষয় টি কাল্পনিক মনে হলেও এটা কিন্তু মিথ্যা নয়।


image


কাক আসলেই তার চারপাশের জিনিস কে কাজে লাগিয়ে তার প্রয়োজন মেটাতে পারে। যেটা অন্য সাধারন পাখি খুব বেশি পারে না।


কাকেরা তাদের খাবার সংগ্রহ করতে জানে। কোন খাবারটি তাদের খেতে হবে এবং কোনটি সংরক্ষণ করতে হবে সেটা তারা বুঝতে পারে। কাকেরা মানুষের চেহারা ও এর বৈশিষ্ট্য মনে রাখতে পারে তাও আবার প্রায় ৫ বৎসর পর্যন্ত। 


কাক একটি উপকারি পাখি। হবে দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

+৪ টি ভোট
সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন প্রাণী কোনটি?

পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী হলো পেরেগ্রিন ফ্যালকন, যা তার শিকারের উপর আক্রমণ করার সময় ৩২২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা (২০০ মাইল প্রতি ঘন্টা) এর বেশি গতিতে উড়তে পারে, এসময় অনেক এটি উচ্চতা থেকে খুব নিচুতে ডাইভ করে তার শিকারকে ধরে ফেলে। আবার পানির মধ্যে সবচেয়ে দরুতগতিসম্পন্ন প্রাণী হলো সেলফিশ, যা ঘণ্টায় 109 কিলোমিটার বা 68 মাইল গতি অর্জন করতে সক্ষম।

avatar
+৪ টি ভোট
ইঞ্জিনের পাওয়ার / ক্ষমতা হর্স পাওয়ার (Hp) এ প্রকাশ করা হয় কেন?
জেমস ওয়াট ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে স্টিম ইঞ্জিনের আউটপুটকে ঘোড়ার ক্ষমতার সাথে তুলনা করার জন্য "হর্সপাওয়ার" শব্দটি উদ্ভাবন করেন। জেমস ওয়াট একজন স্কটিশ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন যিনি স্টিম ইঞ্জিনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিয়ে আসেন এবং তিনি "হর্সপাওয়ার" টার্মটা মূলত স্টিম ইঞ্জিনের মার্কেটিং এর জন্য ব্যবহার করেছিলেন।

সেসময় অনেক শিল্প এবং কৃষি কাজে ঘোড়ার ব্যবহার হতো ভারি কাজ করার জন্য। ফলে 10kw এর একটি ইঞ্জিন কি পরিমাণ কাজ করতে পারবে সেটা গ্রাহকদের বোঝানোর চেয়ে 10টি ঘোড়া কি পরিমাণ কাজ করতে পরে সেটা বোঝানো সহজ ছিল। তাই সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্টিম ইঞ্জিন কত পাওয়ারফুল সেটা বোঝানোর জন্য জেমস ওয়াট স্টিম ইঞ্জিনের ক্ষমতাকে ঘোড়ার ক্ষমতার সাথে তুলনা করে "হর্সপাওয়ার" টার্মটা উদ্ভাবন করেন। 

"হর্সপাওয়ার" শব্দটির ব্যবহার ছিল একটি চতুর মার্কেটিং কৌশল এবং এটি আসলেই ওয়াটের নতুন স্টিম ইঞ্জিনকে জনপ্রিয় করতে সাহায্য করে। স্টিম ইঞ্জিন এর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি দ্রুতই হর্স পাওয়ার টার্মটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ার এবং নির্মাতারাও এই শব্দটি ব্যবহার করা শুরু করেন এবং তা শীঘ্রই সব ধরনের ইঞ্জিনের জন্য শক্তির স্ট্যান্ডার্ড একক হয়ে ওঠে।
avatar
+৪ টি ভোট
চাইনিজে যদি একটা সিম্বল একটা শব্দ নির্দেশ করে তবে চায়নারা নিজেদের নাম লিখে কিভাবে?
প্রথমে আমিও এটা ভাবতাম যে তারা কিভাবে তাদের নাম লিখবে? যেহেতু তাদের লেখার জন্য কোন বর্ণ নেই। 

মূলত তারা তাদের নাম এর ক্ষেত্রে চাইনিজ অর্থবহ নাম ব্যবহার করে। এক বা একাধিক ক্যারেক্টার/সিম্বল/অক্ষর ব্যবহার করে তারা তাদের নাম লিখে থাকে। প্রতিটি ক্যারেক্টার কোন না কোন অর্থ বহন করে থাকে। আবার কোন ক্যারেক্টার সম্পুর্ণ শব্দকেই বহন করে থাকে। 

অধিকাংশ চীনাদের নাম এক এর অধিক সিম্বলে হয়ে থাকে। যেমন এখানে দেখুন, "李小明" (Lǐ Xiǎomíng) এটি একটি চীনা নাম যেখানে "李" (Lǐ) হলো ফ্যামিলি সাবটাইটেল এবং বাকি দুইটি ক্যারেক্টার বা সিম্বল "小明" (Xiǎomíng) হলো নাম টি।

আচ্ছা, তো নন চাইনিজ কোন ব্যাক্তির নাম কিভাবে লিখা যাবে? 

একজন নন চাইনিজ এর নাম চাইনিজে লিখতে ট্রান্সলিটারেশন (Transliteration) নামক এক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেসব চাইনিজ ক্যারেক্টার এর উচ্চারণ ইংরাজি উচ্চরণ এর কাছাকাছি হয় সেসব একাধিক চাইনিজ ক্যারেক্টার এর সমন্বয়ে নন চাইনিজ নাম লেখা হয়ে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, রবার্ট ডউনি জুনিয়র (Robert Downey Jr) এই নামটি ট্রান্সলিটারেশন করে চাইনিজে "罗伯特·唐尼 Jr." (Luóbótè Tángní Jr.) এরকম হবে অনেকটা। এখানে লক্ষ করুন, চাইনিজ ঐসব ক্যারেক্টার সিলেক্ট করা হয়েছে যা একসাথে করলে অনেকটা ইংরাজি এর মতো উচ্চারণ আসে।
avatar
+৪ টি ভোট
পৃথিবীর সব চেয়ে মুল্যবান পদার্থের নাম কি এবং সেটির মূল্য কেমন?
বর্তমানে সবচেয়ে দামি পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয় অ্যান্টি-ম্যাটারকে। অ্যান্টি-ম্যাটার এর সাব এটমিক কণা (ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন) গুলো সাধারণ পদার্থের মতই ভর সম্পন্ন কিন্তু বিপরীত চার্জ সম্পন্ন। সাধারণ পদার্থে যেখানে ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ ধারণ করে অ্যান্টি-ম্যাটার এ ইলেকট্রন পজিটিভ চার্জ ধারণ করে। যার কারণে অ্যান্টি-ম্যাটার এর ইলেকট্রনকে পজিট্রন বলা হয়ে থাকে। একইভাবে অ্যান্টি-ম্যাটার এর প্রোটন নেগেটিভ চার্জ ধারণ করে।

অ্যান্টি-ম্যাটার উৎপাদন এবং স্টোর করা অবিশ্বাস্য পরিমাণ চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল। এটা উৎপাদন করতে অনেক অ্যাডভান্সড পার্টিকেল এক্সেলারেটর এর প্রয়োজন হয়। এর এক গ্রাম উৎপাদনের ব্যায়ও কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং টেকনিকাল চ্যালেঞ্জ এর কারণে একে শুধুমাত্র সায়েন্টিফিক রিসার্স এর জন্য অনেক অল্প পরিমাণে উৎপাদন করা হয়।

সাধারণ ম্যাটার (পদার্থ) এবং অ্যান্টি-ম্যাটার এর বৈশিষ্ট্যের এই বৈপরীত্যের কারণে ম্যাটার এবং অ্যান্টি-ম্যাটার সংস্পর্শে আসলে উভয়ের মধ্যে ফ্ল্যাশ ওভার ঘটে উভয়েই নিঃশেষ হয়ে যায় এবং তাদের ভরের সমান এনার্জি রিলিজ করে। অ্যান্টি-ম্যাটার সফল ভাবে উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেহেতু এটি সাধারণ ম্যাটার এর সংস্পর্শে আসলেই ফ্ল্যাশ ওভার ঘটে তাই এখন পর্যন্ত এমন কোনো পাত্র তৈরি করা যায়নি যেটায় অ্যান্টি-ম্যাটার ধারণ করা সম্ভব। অ্যান্টি-ম্যাটার যেহেতু ফ্ল্যাশ ওভারের সময় অনেক এনার্জি রিলিজ করে তাই ভবিষ্যতে এটি নিউক্লিয়ার জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
avatar
+৪ টি ভোট
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ধাতুর নাম কি?

এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি ধাতু হলো (Rhodium) রোডিয়াম।  এটি অত্যন্ত দামি একটি ধাতু বা মেটাল যার এক গ্রাম এর দাম পনের থেকে বিশ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। রোডিয়াম হল উচ্চ প্রতিফলনশীল এবং ক্ষয়রোধি একটি ধাতু। এটি মোস্টলি ক্যাটালিটিক কনভার্টার এবং ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর স্বল্পতার কারনে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মেটালে পরিনত হয়।


দামের দিক দিয়ে এর পরে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি দুইটি মেটাল হলো প্যালাডিয়াম, প্লাটিনাম। প্রতিগ্রাম প্যালাডিয়াম ৮০ থেকে ১০০ ডলার এবং প্লাটিনাম ৪০ থেকে ৫০ ডলার এ বিক্রি হয়। এ থেকে বোঝা যায় যে রোডিয়াম কত কত দামি!

avatar
+৫ টি ভোট
ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টি এর মধ্যে পার্থক্য কি?
কোনো পণ্যে ওয়ারেন্টি এর উল্লেখ দেখা যায় আবার কোনো পণ্যে গ্যারান্টি এর উল্লেখ দেখা যায়। এই দুটি কি একই নাকি ভিন্ন? ভিন্ন হলে এদের পার্থক্য কি?

টি উত্তর
avatar
+৩ টি ভোট
সিএনজি (CNG) ও এলপিজি (LPG) কি?

সিএনজি এবং এলপিজি উভয়ই বিকল্প জ্বালানি হিসেবে পেট্রল বা ডিজেলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উভয় জ্বালানির বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার গুলো উল্লেখ করা হলো।


সিএনজি - কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস মূলত মিথেন গ্যাস যা একটি জ্বালানী ট্যাঙ্ক বা সিলিন্ডারে উচ্চ চাপে (সাধারণত প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে 200 কেজি পর্যন্ত) কমপ্রেস করে সংরক্ষণ করা হয়। সিএনজি সাধারণত পেট্রল বা ডিজেলের চেয়ে কম ব্যয়বহুল এবং কম গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং বায়ু দূষণ করে। সিএনজি সাধারণত ট্যাক্সি, বাস এবং ডেলিভারি ভ্যানের মতো হালকা-শুল্ক গাড়ির পাশাপাশি কিছু বড় ট্রাক এবং বাণিজ্যিক যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। সিএনজির জন্য একটি ডেডিকেটেড ফুয়েলিং স্টেশন প্রয়োজন যেখানে গ্যাস কমপ্রেস করে বিতরণ করা হয়। সিএনজি এর ফুয়েলিং স্টেশনের সংখ্যা অনেক কম।


এলপিজি - লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস একটি হাইড্রোকার্বন জ্বালানী যা প্রোপেন বা বিউটেন দিয়ে তৈরি। এলপিজিও সিএনজির মতো কমপ্রেস করে জ্বালানী ট্যাঙ্কে তরল হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়। এলপিজি সাধারণত সিএনজির চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল, তবে পেট্রল বা ডিজেলের চেয়ে কম ব্যয়বহুল। এলপিজি গ্যাসোলিন বা ডিজেলের তুলনায় কম গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন করে, কিন্তু সিএনজির চেয়ে বেশি উৎপন্ন করে। এলপিজি সাধারণত কুকিং, হিটিং সিস্টেম, ট্যাক্সি, বাস এবং ডেলিভারি ভ্যানের মতো কিছু যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। সিএনজি ফুয়েলিং স্টেশনের তুলনায় এলপিজি ফুয়েলিং স্টেশনের সংখ্যা বেশি সাধারণত, তবে গ্যাসোলিন বা ডিজেল স্টেশনগুলির তুলনায় এখনও কম।

avatar
+৩ টি ভোট
মাটির নিচে আমরা পানি পাই কিভাবে?
ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষিত থাকে ভূগর্ভে থাকা মাটি, বালু, নুড়িপাথরের ফাকা যায়গার মধ্যে। মাটির নিচের পাথরের আকার যত বড় হবে সেখানে তত বেশি পানি সংরক্ষণ হবে। এর কারন বড় পাথর পাশাপাশি থাকলে সেখানে ফাকা যায়গা বেড়ে যায় অন্যদিকে পাথর যদি খুব ছোট হয় তবে ফাকা যায়গা গুলো পুরন করে নেয়।

মাটির নিচে যে স্তর থেকে আমরা পানি পাই সেটাকে বলে অ্যাকুইফার (aquifer)। একটি অ্যাকুইফার কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। নদিতে যেমন পানির প্রবাহ দেখা যায়, অ্যাকুইফারেরও পানি প্রবাহিত হয়।  কোথাও বেশি পরিমানে পানি উত্তলন করা হলে  অন্যান্ন স্থান থেকে পানি এসে সে জায়গা পুরন করে। অধিক পরিমানে পানি উত্তলন করা হলে অ্যাকুইফারের পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। তবে বৃষ্টির পানি এবং তুষার গলার ফলে মাটির মধ্যদিয়ে পানি আবার অ্যাকুইফারে জমা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে একশ থেকে দুইশ মিটারের মধ্যে অ্যাকুইফার পাওয়া যায়। অতিতে সংখ্যাটা আরো কম ছিলো। কয়েকমিটার কুয়া খনন করে অ্যাকুইফার এর লাগাল পাওয়া যেত তবে বর্তমানে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না।
avatar
+৪ টি ভোট
পৃথিবীর গতি কত ধরনের ও কি কি?
পৃথিবীর গতি সাধারনত দুই ধরনের। ১) আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি (Rotation) ২) পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি (Revolution)। 

আহ্নিক গতি: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উরে ঘুরতে থাকে, একে আহ্নিক গতি বলে। আহ্নিক গতির কারনে পৃথিবীতে দিন ও রাত দেখা যায়। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে 23½° হেলানো থেকে  ঘন্টায় ১৬শ কিলোমিটার (460 মিটার/সেকেন্ড এ) প্রতিনিয়ত ঘুরছে।  এবং একটি ঘূর্ণন সমপন্ন করতে সময় নেয় 23 ঘন্টা 56 মিনিট 4.091 সেকেন্ড।

বার্ষিক গতি: নিজ অক্ষে ঘুরার পাশাপাশি পৃথিবী সূর্যের চার দিকে পরিক্রমন করে, একে বার্ষিক গতি বলা হয়। পৃথিবীর বার্ষিক গতির কারনে পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন দেখা যায়। পৃথিবী সেকেন্ড'এ 30 কিলোমিটার গতিতে অথবা ঘন্টায় 67 হাজার মাইলে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
avatar
+৪ টি ভোট
আয়নাতে লেখা উল্টা দেখায় কেন?

আয়না আসলে লেখা উল্টো দেখায় না। আয়না কোনো বস্তুর প্রতিটি বিন্দু থেকে আপাত হওয়া আলো প্রতিফলন করে এবং এই বিন্দু বিন্দু আলো নিয়ে আয়নায় বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। আয়নার সামনে ঠিক যে অবস্থানে মূল বস্তুটি থাকে আয়নার তত পিছনেই বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। এতে আয়না কোনো কিছুই উল্টায় না বরং প্রতিটি বিন্দুর প্রতিবিম্ব ঠিক ঠিক অবস্থানেই তৈরি করে।


লেখার ক্ষেত্রে আমরা আয়নার সামনে যখন কোনো লেখা ধরি তখন লেখাটি আয়নার দিকে ঘুরিয়ে ধরার সময় নিজে লেখা দেখার সময় যেদিক দিয়ে ধরেছিলাম তার উল্টো দিক দিয়ে ধরি। এতে লেখার ডান দিকে আমাদের বাম হাতের দিকে ধরি এবং বাম দিক ডান হাতের দিক ধরি। আর যেহেতু আয়নার সামনে বস্তু যেভাবে থাকে সেভাবেই প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তাই আয়নায় লেখা উল্টো দেখতে পাই।


image

উদাহরণস্বরূপ আমি একটি পাতলা কাগজের জেল পেন দিয়ে TD Bangla শব্দটি দুই পাশেই লিখেছি যাতে লেখা উভয় দিক থেকে দেখা যায়, এখানে দেখা যাচ্ছে যে লেখাটি সামনে থেকে সোজা দেখাচ্ছে সেটা আয়নাতেও সোজা দেখাচ্ছে, আর যেটি সামনে থেকে উল্টো দেখাচ্ছে সেটি আয়নাতেও উল্টো দেখাচ্ছে। অর্থাৎ আয়না লেখা উল্টো দেখায় না, আমরা আয়নার সামনে লেখা উল্টো দিকে ধরি তাই উল্টো দেখায়।

avatar
+৪ টি ভোট
হঠাৎ সূর্য গায়েব হয়ে গেলে কি হতে পরে?
আমরা সূর্যের আলোতে বাঁচি। সূর্য আমাদের শক্তির যোগান দেয়। সূর্য যদি হঠাৎ করে অলৌকিকভাবে কখনো গায়েব হয়ে যায় তাহলে আমরা সেটা বুঝতে পারবো ৮ মিনিট পরে। কারণ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট। এবং ৮ মিনিটের পরে পৃথিবির আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। 

পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে সূর্যের গ্রাভিটির কারণে। এখন সূর্য হঠাৎ করে গায়েব হয়ে গেলে পৃথিবীর বার্ষিক গতির কারণে পৃথিবী ক্রমশ সৌরজগতের বাইরে আউটার স্পেস এর দিকে ধাবিত হতে থাকবে। তবে এই জিনিসটাও সাথে সাথে ঘটবেনা। কারণ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতে আলোর থেকে গতিশীল বস্তু কোনটি নয়। এমন কি গ্রাভিটিও নয়। অতএব, আমরা বলতে পারি সূর্য যদি কখনো অলৌকিকভাবে গায়েব হয়ে যায় তবে পৃথিবীতে গ্রাভিটিরও প্রভাব পড়বে ৮ মিনিট পরে।

পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। পৃথিবীতে আবার বরফ যুগ শুরু হবে। এ অবস্থায় কোন মানুষের পক্ষে সারভাইভ করা সম্ভব নয় তাই বলা যায় সমস্ত মানুষ মারা পড়বে। 
avatar
+২ টি ভোট
কালো রংয়ের কাপে চা কেন দ্রুত ঠান্ডা হয়?

আমরা জা‌নি, কালো বস্তুর উচ্চ নির্গমন ক্ষমতা থাকে, যার অর্থ তারা হালকা রঙের বস্তুর চেয়ে বেশি কার্যকরভাবে তাপীয় বিকিরণ শোষণ করে এবং শোষিত তাপ নির্গত করে।


চা যখন কালো কাপে ঢেলে দেওয়া হয়, তখন বিকিরিত তাপ স্থানান্তর নামক একটি ঘটনার কারণে চা হালকা রঙের কাপের তুলনায় দ্রুত ঠান্ডা হতে পারে। গরম চা একটি কালো কাপে ঢেলে দেওয়া হলে কাপটি চা থেকে নির্গত তাপীয় বিকিরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শোষণ করে এবং শোষিত তাপ কাপের বাইরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বাতাসে সেই তাপ ছেড়ে। ফলস্বরূপ, চা কাপে আরও দ্রুত তাপ হারায়, যার ফলে এটি দ্রুত ঠান্ডা হয়।


অন্যদিকে, যদি চা একটি হালকা রঙের কাপে ঢেলে দেওয়া হয়, তবে এটি চায়ের বিকিরিত তাপ শোষণের পরিবর্তে চায়ের তাপীয় বিকিরণ প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাপ হ্রাসের হার কমায়। ফলে চা দীর্ঘ সময়ের জন্য তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে। 


একটি কালো কাপ এবং একটি হালকা রঙের কাপের মধ্যে শীতল করার হারের পার্থক্য অতটাও বেশি নয় এবং দৈনন্দিন পরিস্থিতিতে এটি লক্ষণীয় নাও হতে পারে। অন্যান্য কারণ, যেমন কাপের উপাদান, পুরুত্ব এবং পরিবেষ্টিত তাপমাত্রা চা শীতল প্রক্রিয়াতে ভূমিকা পালন করে।

avatar
+৪ টি ভোট
ইংলিশ বানান এক রকম আবার উচ্চারন অন্যরকম হয় কেন?
ইংরেজি বানান এবং উচ্চারণের এই পার্থক্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে তৈরি হয়েছে। প্রাচীন ইংরেজী, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ল্যাটিন এবং গ্রীক ইত্যাদির মতো বিভিন্ন উৎস থেকে প্রভাব ফেলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইংরেজি ভাষা বিকশিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন শব্দের বানান এবং উচ্চারণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে, যার ফলে বানান এবং উচ্চারণের মধ্যে সম্পর্কের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।

ইংরেজি বানান এবং উচ্চারণ ভিন্ন পিছনে শব্দের ঐতিহাসিক পরিবর্তন, অন্য ভাষা হতে ধার করা শব্দ, বিভিন্ন ধ্বনি পরিবর্তনের মাধ্যমে শব্দ পরিবর্তন, আঞ্চলিক ও উপভাষা গত পরিবর্তন ইত্যাদি এ ভিন্নতার জন্য উল্লেখযোগ্য।

উদাহরণস্বরূপ, "hour" শব্দটি ফরাসি থেকে এসেছে এবং ইংরেজিতে এর উচ্চারণ সাধারণ ইংরেজি বানান নিদর্শন অনুসরণ করে না।
আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন

২৮৮ টি প্রশ্ন

২৭৬ টি উত্তর

২৯ টি মন্তব্য

৪৬ জন সদস্য

এই মাসের সেরা সদস্যগন

    Nobody yet this month.

    সাম্প্রতিক ব্যাজ সমুহ

    whoever ১৫ ৬৭ ২৩২ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
    whoever ১৫ ৬৭ ২৩২ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
    whoever ১৫ ৬৭ ২৩২ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
    abunaser ১৭ ৫৬ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
    whoever ১৫ ৬৭ ২৩২ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
    ...