আমরা যেমন ভাবে মেট্রিক সিস্টেম ব্যাবহার করি। মেট্রিক মেজারমেন্ট সিস্টেম যেটা আসে ফ্রান্স দের কাছ থেকে। তেমনি করে আজকের দিনের ব্যবহার করা সংখ্যা পদ্ধতি Decimal তথা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি এর উতপত্তি ভারতবর্ষে আর আরবদের হাত ধরে এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।
এখানে একটা বিষয় বলতে হচ্ছে, আমরা জানি আরবি ডান থেকে বামে লিখা হয় অপর দিকে ভারতিয় উপমহাদেশিয় ভাষা গুলো বাম থেকে ডান দিকে লিখা হয়। তো যেহেতু দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির উত্ততি ভারতবর্ষে তাই কার্যত এটা বাম দিক থেকেই লিখা হয়।
আরবরা এই নিয়ম আর পরিবর্তন করেনি। তবে শুরুতে আরবিতে সংখ্যা পড়া হতো ছোট অংক থেকে। যেমন ৫৩৮৩ এটা পড়া হতো “তিন-আশি-তিন শত-পাঁচ হাজার” এভাবে (এখানে আমি বোঝানোর সুবিধার্থে বাংলায় লিখলাম)। এখানে দেখুন, আরবিতে বাম দিক থেকে সংখ্যা লিখা হলেও পড়া হচ্ছে সেই ডান দিক থেকেই।
যদিও আজকের আরবিতে উপরক্ত সংখ্যাটি “পাঁচ হাজার-তিন শত-তিন আশি” এভাবে। এখানে শুরুতে ঠিকঠাক থাকলেও শেষের ২ সংখ্যা আগের নিয়মেই রইলো।
তবে এরপরেও বাম দিক থেকে সংখ্যা লিখাটা আরবিতে অযৌক্তিক নয়। “৮৪০৯২৩৫৮” এই সংখ্যাটি কথায় লিখা যাক।
“আট কোটি, চল্লিশ লক্ষ, বিরানব্বই হাজার, তিনশত আটান্ন”
কথায় লেখা সংখ্যাটি ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতিবার ডান দিক থেকে গুনতে হচ্ছে। কোনটি কোটি, কোনটি লক্ষ তা জানতে কিন্তু ডান দিক থেকেই দেখতে হচ্ছে। অপরদিকে আরবি পড়া হয় ডান থেকে। এতে সংখ্যা বাম থেকে লিখা হলেও পড়তে কিন্তু ঠিকই সুবিধা। তাই বলা যায় আরবিতে বামদিক থেকে লিখা অযৌক্তিক নয়।