বিজ্ঞান - প্রশ্ন উত্তর

avatar
+1 টি ভোট
ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠলে তাপমাত্রা হ্রাস পায় কেন?
সাধারণভাবে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে যাওয়া হবে তাপমাত্রা তো ততোই বাড়ার কথা। যেহেতু, ক্রমেই সূর্যের নিকটর্তী যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা না হয়ে কিছু উচ্চতায় উঠার পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এর কারণ কি?
0 টি উত্তর
avatar
+2 টি ভোট
অনেক উচ্চতায় প্লেন চলার সময় পিছনে সাদা ধোয়ার মতো দাগ দেখা যায় কেন?
উচ্চ-উচ্চতার প্লেনগুলির পিছনে যে দৃশ্যমান সাদা ধোয়ার মত দেখা যায় সেটি কনট্রেইল নামে পরিচিত, যা কন্ডেনসন ট্রেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ঘটে যখন জেট ইঞ্জিন থেকে উত্তপ্ত নিষ্কাশন গ্যাস উপরের হিমশীতল বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে বরফ কণায় পরিণত হয়।

জেট ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং অক্সিজেন বার্ন হয়ে নিষ্কাশন রূপে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প নিঃসরিত হয়। আমরা জানি উচ্চ-উচ্চতায় বায়ুমণ্ডল অনেক ঠান্ডা থাকে। প্লেন যখন এমন উচ্চতা দিয়ে উড়ে যেখানে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বরফ জমার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার নিচে থাকে তখন জেট ইঞ্জিনের নিষ্কাশন গ্যাস উপরের হিমশীতল বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে জলীয় বাষ্প দ্রুত ঠান্ডা হয়ে বরফ কণায় পরিণত হয়, যা জেট ইঞ্জিনের পিছনে একটি দৃশ্যমান সাদা পথ তৈরি করে। আমরা মূলত এটিকেই সাদা ধোয়ার মতো দেখতে পাই।
avatar
+2 টি ভোট
নন নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলতে কি বোঝায়?

নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়ে থাকে ওইসব ফ্লুইড / প্রবাহী পদার্থকে যেগুলোর সান্দ্রতা (Viscosity) তার উপর চাপ প্রয়োগের সাথে পরিবর্তিত হয়। এদের নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয় কারণ এসব ফ্লুইড নিউটনের সান্দ্রতার সূত্র মেনে চলে না। সান্দ্রতা হলো প্রবাহী পদার্থের একটি গুণ যেটা বর্ণনা করে পদার্থটির প্রবাহের প্রতি প্রতিরোধের পরিমাণ। নিউটনের সন্দ্রতার সূত্র অনুসারে কোনো পদার্থের সান্দ্রতা সব ক্ষেত্রে ধ্রুবক। কিন্তু নন-নিউটনিয়ান পদার্থের ক্ষেত্রে এর সান্দ্রতা এর উপর প্রযুক্ত চাপের সাথে পরিবর্তিত হয়। নিউটনের সন্দ্রতার সূত্র মে না চলার কারণেই এদের নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়।


নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড দুই ধরনের হয়:

  • সিউডোপ্লাস্টিক (Pseudoplastic): সিউডোপ্লাস্টিক বলা হচ্ছে সেসকল নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইডকে যেগুলোর সন্দ্রতা চাপ প্রয়োগের সাথে কমে অর্থাৎ চাপ প্রয়োগ করলে সহজে প্রবাহিত হয়।
  • ডাইলাট্যান্ট (Dilatant): ডাইলাট্যান্ট বলা হচ্ছে সেসকল নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইডকে যেগুলোর সন্দ্রতা চাপ প্রয়োগের সাথে বাড়তে থাকে অর্থাৎ চাপ প্রয়োগ করলে যেগুলোর প্রবাহ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
+4 টি ভোট
ডায়মন্ড কাটা হয় কিভাবে?
আমরা জানি ডায়মন্ড সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হিসেবে বিবেচিত। তাহলে একে কাটা হয় কিভাবে?
0 টি উত্তর
avatar
+4 টি ভোট
জ্বর আসলে শরীর গরম থাকে কিন্তু তারপরেও ঠান্ডা লাগে কেন?
জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এটা মূলত আমাদের শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি পদ্ধতি। উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রজননকে ধীর করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এভাবে উচ্চ তাপমাত্রা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ হিউম্যান বডির সাধারণ তাপমাত্রা 36.8°C বা 98°F। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে আমাদের শরীর এই তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আগে যেখানে শরীরের তাপমাত্রা 36.8°C থাকলে আমাদের স্বাভাবিক মনে হতো এখন এতে ঠান্ডা অনুভূত হবে। ফলে আমাদের শরীর তার তাপমাত্রা বর্তমান স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পৌঁছাতে বিভিন্ন উপায়ে তাপ উৎপাদন করে। ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তাপমাত্রা শরীরের বর্তমান সাধারণ তাপমাত্রায় না পৌঁছানোয় ঠান্ডা অনুভূত হয়। এভাবেই মূলত জ্বর আসলে শরীর গরম থাকে কিন্তু তারপরেও ঠান্ডা লাগে।
avatar
+3 টি ভোট
ফেরো ম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল বলতে কি বুঝায়?
ফেরো (Ferro) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ferrum থেকে এসেছে, যা দিয়ে লোহা / আয়রন বোঝানো হয়। আর ফেরো ম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল বলতে সেসব পদার্থকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো চুম্বক এর সাথে লোহার ন্যায় আচরণ করে। অর্থাৎ সহজ কথায়  ফেরো ম্যাগনেটিক পদার্থ বলতে যেসব পদার্থ চুম্বক কর্তৃক আকর্ষিত হয় সেগুলোকে বুঝায়।
avatar
+2 টি ভোট
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কিভাবে কাজ করে?

ইনফ্রারেড থার্মোমিটার: একটি নন-কন্টাক্ট থার্মোমিটার, এটি এমন একটি ডিভাইস যা কোনো বস্তুকে স্পর্শ না করেই তার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে। ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কোনো বস্তু থেকে নির্গত ইনফ্রারেড রেডিয়েশন এর পরিমাণ সনাক্ত করার মাধ্যমে তার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করে। ইনফ্রারেড রেডিয়েশন মূলত একধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগেটিক রেডিয়েশন যা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না।


ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে থার্মোপাইল নামক একটি বিশেষ সেন্সর থাকে যেটা ইনফ্রারেড রেডিয়েশন সনাক্ত করতে পারে। যোখন ইনফ্রারেড রেডিয়েশন থার্মোপাইলে আঘাত করে তখন থার্মপাইল এই রেডিয়েশন শোষণ করে একটি ছোট্ট বৈদ্যুতিক সিগন্যালে রূপান্তর করে। এরপর এই সিগন্যালকে অ্যাম্পলিফাই করে তাপমাত্রা রিডিং হিসেবে ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হয়।


ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কতোটা নিখুঁত রিডিং প্রদান করবে সেটা কিছু ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে, যেমন:

  • থার্মোমিটার এবং বস্তুর দুরত্ব
  • চারপাশের পরিবেশের অবস্থা
  • সেন্সর এর ধরন ইত্যাদি।
avatar
+4 টি ভোট
বজ্রপাতের সময় এতো প্রবল শব্দ হয় কেন?

বজ্রপাতে সৃষ্ট প্রচন্ড তাপের ফলে বাতাসে সংকোচন প্রসারণের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়।


বজ্রপাতে সৃষ্ট প্রচন্ড তাপমাত্রা পাশের বায়ুমণ্ডল কে খুব জোরে চাপ দেয় বা প্রসারিত করে। এর জন্য  শব্দ হয়, যেমন ঠান্ডা জলে যদি গরম লোহার রড প্রবেশ করাই একটা শব্দ উৎপন্ন হবে বা রান্না করার সময় গরম তেলে ঠান্ডা কিছু দিলে শব্দ হয়।

avatar
+2 টি ভোট
তামার পাত্রে জল বা খাবার খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?

আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা বলছে তামার পাত্রে অনেকক্ষণ জল রাখলে তা থেকে সামান্য তামার আয়ন জলে মিশতে পারে। এমনিতেই আমাদের পুষ্টিতে ট্রেস উপাদান হিসাবে  তামার কিছু উপকারী ভূমিকা আছে। কিন্তু বেশি মাত্রায় তামা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে গৃহীত হলে কপার টক্সিসিটি তৈরি করতে পারে।


শরীরে প্রতিটি খনিজেরই একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চাহিদা রয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে কোনও খনিজ দেহে প্রবেশ করলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তামার পাত্রে সারারাত জল রেখে সকালে উঠে সেই জল খেলেও কিন্তু একই ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত তামা দেহে প্রবেশ করার কারণে কপার টক্সিসিটি তৈরি হয়। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারাদিনে ১০ মিলিগ্রামের বেশি তামা দেহে প্রবেশ করলেই একাধিক জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

avatar
+5 টি ভোট
কিভা‌বে মহা‌বিশ্ব দ্রুত প্রসা‌রিত হ‌চ্ছে?

"মহাবিশ্ব দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে" এই বিবৃতিটির মা‌নে কী? মহাবিশ্ব কিসের সাপেক্ষে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে?


image

0 টি উত্তর
avatar
+3 টি ভোট
পৃ‌থিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকে পরে যাই না কেন?

আমরা পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে ছিটকে পড়ে না যাওয়ার পিছনে দায়ী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।


আমরা এবং পৃথিবী একই ঘূর্ণন গতির অধীন। পৃথিবী যখন তার অক্ষের উপর ঘোরে, তখন আমরা সহ এর পৃষ্ঠের বস্তুগুলিও এর সাথে ঘোরে। এই ঘূর্ণন গতি একটি কেন্দ্রাতিগ শক্তি (সেন্ত্রিফিউগাল ফোর্স) তৈরি করে যা আমাদের পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায়। অপরদিকে মাধ্যাকর্ষণ সবকিছুকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে নিতে চায়। যাইহোক, পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পরস্পরের বিপরীত দিকে কাজ করে। এই দুটি শক্তি (মাধ্যাকর্ষণ এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তি) একে অপরের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখে, যার ফলে একটি স্থিতিশীল ভারসাম্য তৈরি হয় ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠের বস্তুগুলি ছিটকে পড়ে যায় না।
avatar
+5 টি ভোট
কার্বলিক অ্যাসিড কি সাপ তাড়াতে সাহায্য করে?
অনেক মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করেন কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে সাপ তাড়ানো যায়। এ‌টি কি স‌ত্যি না‌কি ভ্রান্ত ধারণা?
0 টি উত্তর
avatar
+3 টি ভোট
সোলার প্যানেল শতকরা কতভাগ সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে?
একটি সৌর প্যানেলের কার্যকারিতা বলতে বোঝানো হচ্ছে সে সূর্য থেকে নেয়া তাপ দিয়ে কতটুকু বিদ্যুৎ শ‌ক্তি উৎপন্ন করতে পারে। সৌর প্যানেলের কার্যকারিতা বছরের পর বছর ধরে উন্নত হচ্ছে, তবে এটি ব্যবহৃত সোলার সেল, প্রযুক্তির ধরন, প্যানেলের গুণমান এবং পরিবেশগত অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। 

বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এমন সৌর প্যানেলগুলি স্ফটিক সিলিকন সোলার সেল ব্যবহার করে, সাধারণত এগুলোর কার্যকারিতা  রপরিসীমা ১৫% থেকে ২২% এর মধ্যে। এর মানে হল যে তারা সূর্যালোকের ১৫% থেকে ২২% শ‌ক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। তবে কিছু উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল ২৬% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সূর্যালোক কাজে লাগাতে পারে। 

এটি লক্ষণীয় যে সৌর প্যানেলের দক্ষতা উন্নত করার উপর ফোকাস করে গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রচেষ্টা প্রতিনিয়তই চলছে। নতুন প্রযুক্তি, যেমন মাল্টি-জাংশন সোলার সেল এবং পেরোভস্কাইট সোলার সেল, গবেষনার ল্যাবরেটরিতে আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সোলারের শ‌ক্তি আরও বৃ‌দ্ধির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে এই অগ্রগতিগুলির সু‌বিধা বাণিজ্যিকভাবে ও সাধারণ মানুষের ব্যবহারে আসতে আরও কিছু সময় লাগবে।
avatar
+3 টি ভোট
গরম ধাতু লাল রঙের দেখায় কেন?

এই প্র‌ক্রিয়া‌টি ইনক্যান্ডেসেন্স নামে প‌রি‌চিত। অর্থাৎ, যখন নির্দিষ্ট ধাতুগুলি খুব উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়, তখন তারা একটি নি‌র্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় যা ইনক্যান্ডেসেন্স নামে পরিচিত, এ অবস্থায় ধাতুগুলি দৃশ্যমান আলো নির্গত করে। এই প্র‌ক্রিয়ায় সাধারণত ধাতু জ্বলজ্বলে লাল বা এমনকি সাদা হিসাবে পরিলক্ষিত হয়। 


উত্তপ্ত ধাতু দ্বারা নির্গত আলোর রঙ তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে রঙ লাল থেকে কমলা, হলুদ এবং অবশেষে সাদাতে পরিবর্তিত হয়। তাপমাত্রা এবং আলোর নির্গমন বর্ণালীর মধ্যে সম্পর্কের কারণে এই রঙের পরিবর্তন হয়।


যখন একটি ধাতু উত্তপ্ত হয়, তখন এর পরমাণু তাপ শক্তি শোষণ করে, যার ফলে ধাতুর পারমাণবিক কাঠামোর ইলেকট্রনগুলি উত্তেজিত হয় এবং উচ্চ শক্তির স্তরে চলে যায়। এই উত্তেজিত ইলেক্ট্রনগুলি তাদের নিম্ন শক্তির স্তরে ফিরে আসার সাথে সাথে তারা আলো আকারে অতিরিক্ত শক্তি ছেড়ে দেয়। নির্গত আলোতে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফোটন থাকে এবং আলোর রঙ নির্গত বর্ণালীতে উপস্থিত নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারিত হয়।


নিম্ন তাপমাত্রায়, নির্গত আলোর দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে, যা লাল রঙের সাথে যুক্ত থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে নির্গত ফোটনের গড় শক্তি বৃদ্ধি পায়, যার ফলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হয় এবং ক্রমান্বয়ে কমলা, হলুদ এবং সাদা রঙের দিকে প‌রিব‌র্তিত হয়।

avatar
+3 টি ভোট
কাঁচা লোহা বলতে কি বোঝায়?

কাঁচা লোহা বলতে মূলতঃ বুঝানো হয় ঢালাই লোহাকে। এই ঢালাই লোহা বা কাঁচা লোহা উচ্চ কার্বন উপাদান (সাধারণত ২% এবং ৪% এর মধ্যে) সম্পন্ন এবং কম গলনাঙ্ক সম্পন্ন লোহা-কার্বন সংকর ধাতুগুলির একটি গ্রুপকে বোঝায়। একে "ঢালাই/কাঁচা" লোহা বলা হয় কারণ এই লোহাকে সহেজেই গলিয়ে ছাঁচে ঢালাই করে বিভিন্ন আকার এবং রূপ দেওয়া যায়। 


কাঁচা লোহার চমৎকার তাপ ধারণ ক্ষমতা, উচ্চ পরিধান প্রতিরোধের বৈ‌শিষ্ট্য এবং ভাল ঢালাই ক্ষমতার বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 


এটি তার শক্তি এবং স্থায়িত্বের জন্য পরিচিত। ইঞ্জিন ব্লক, পাইপ, কুকওয়্যার এবং স্থাপত্য উপাদানের জন্য এই বৈ‌শিষ্ট্যের লোহা বেশ উপযুক্ত। 


ধূসর লোহা, সাদা লোহা এবং নমনীয় লোহা সহ বিভিন্ন ধরণের কাঁচা লোহা রয়েছে। এদের প্রতিটির নিজস্ব নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার রয়েছে।

avatar
+5 টি ভোট
ডিএনএ (DNA) টেস্টের মাধ্যমে কিভাবে পরিচয় সনাক্ত করা হয়?

নির্দিষ্ট করে এবং শতভাগ ত্রুটিমুক্ত ভাবে কারো পরিচয় উদঘাটনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। প্রশ্ন হলো কিভাবে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কারো পরিচয় নির্ভুলভাবে চিনহিত করা যায়? 


image

0 টি উত্তর
avatar
+4 টি ভোট
মশার উপদ্রব কমাতে ময়লা / ড্রেনের পানিতে কেরোসিন দেওয়া হয় কেন?
আশেপাশে মশার উপদ্রব কমাতে অনেক সময় আশেপাশের ময়লা পানির খালে কিংবা ড্রেনের পানিতে কেরোসিন দেওয়া হয়। কেরোসিন কিভাবে মশার উপদ্রব কমায়?
0 টি উত্তর
avatar
+5 টি ভোট
মহাবিশ্বে যেকোনো দুটি বস্তু পরস্পর পরস্পরকে কেন আকর্ষণ করে? কি কারণে এই আকর্ষণ বল তৈরি হয়?
নিউটন এর মহাকর্ষ সূত্র বলে "এই মহাবিশ্বে যেকোনো দুটি বস্তু পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে"- আমার প্রশ্ন হলো কি কারণে এই আকর্ষণ বল তৈরি হয়?
0 টি উত্তর
avatar
+3 টি ভোট
জোনাকি পোকা আলো নির্গত করে কিভাবে?
জোনাকী পোকা থে‌কে নির্গত আলো বায়োলুমিনিসেন্স নামেও পরিচিত এবং প্র‌ক্রিয়া‌টি সম্পূর্ণ ভা‌বে প্রাকৃ‌তিক।

জোনাকী পোকা একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আলো তৈরি করে যা তাদের দেহের মধ্যে ঘটে। প্রক্রিয়াটিকে বায়োলুমিনিসেন্স বলা হয় এবং এতে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট যৌগের মিথস্ক্রিয়া জড়িত। 

জোনাকী পোকা‌দের পেটে বিশেষ ধর‌নের আলোক-নিঃসরণকারী অঙ্গ রয়েছে। এই অঙ্গগুলির মধ্যে দুটি মূল পদার্থ রয়েছে:

যার এক‌টি "লুসিফেরেজ" এবং অপর‌টি হ‌লো "লুসিফেরিন"। 

লুসিফেরেজ হল একটি এনজাইম এবং লুসিফেরিন হল একটি অণু যা এনজাইমের সাবস্ট্রেট হিসেবে কাজ করে। অক্সিজেনের উপস্থিতিতে লুসিফেরেজ লুসিফেরিন, এটিপি (অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়নগুলির উপস্থিতিতে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া অনুঘটক করে। এই প্রক্রিয়ায় লুসিফেরিনের অক্সিডেশন ঘটে, যার ফলে আলোর আকারে শক্তি নির্গত হয়। 

জোনাকী পোকাদের থেকে সাধারণত সবুজ-হলুদ রঙ নির্গত হয়, তবে জোনাকী পোকাদের কিছু প্রজাতি আছে যেগুলো সবুজ-হলুদ ছাড়াও বিভিন্ন রঙ নির্গত করে। নির্গত এই আলো সম্পূর্ণভাবে জোনাকী পোকাদের নিয়ন্ত্রণে নির্গত হয়। 

জোনাকী পোকাদের আলোতে বিশেষ কিছু প্যাটার্ণ বা সংকেত রয়েছে যার মাধ্যমে তারা তাদের সম্ভাব্য সঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ করে। 
avatar
+2 টি ভোট
প্রেশার কুকারে খাবার দ্রুত সেদ্ধ হয় কেন?
মূলত প্রেসার কুকারে খাবার দ্রুত রান্না হয় এর ভিতরে তাপমাত্রা সাধারণ পাত্রের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে।

আমরা জানি যে পানির স্ফুটনাঙ্ক বায়ুমণ্ডলের চাপের উপর নির্ভর করে। প্রেসার কুকার যেহেতু একটি বদ্ধ এয়ার টাইট পাত্র তাই এর মধ্যে পানি ফুটে বাষ্পে পরিণত হলে এর মধ্যে বাতাসের চাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, এবং বাতাসের চাপ বৃদ্ধির ফলে পানির স্ফুটনাঙ্কও বৃদ্ধি পায় এবং পানি সাধারণের চেয়ে বেশি গরম হতে পারে। যেহেতু পানি বেশি গরম হচ্ছে তাই খাবার সেদ্ধ হবার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ শক্তি কম সময়ের মধ্যে পেয়ে কম সময়েই রান্না হয়ে যায়। তাছাড়া প্রেসার কুকারে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত প্রেসার গরম বাষ্পকে খাবারের ভিতরে ঠেলে দেয়, এটাও খাবার দ্রুত রান্না হবার পিছনে একটি কারণ।
আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন

242 টি প্রশ্ন

234 টি উত্তর

28 টি মন্তব্য

34 জন সদস্য

সাম্প্রতিক ব্যাজ সমুহ

easoyeb 11 39 196 একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever 7 38 187 একটি ব্যাজ পেয়েছেন
easoyeb 11 39 196 একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever 7 38 187 একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever 7 38 187 একটি ব্যাজ পেয়েছেন

এই মাসের সেরা সদস্যগন

  1. avatar
  2. avatar
  3. avatar
...