বিজ্ঞান - প্রশ্ন উত্তর

avatar
+১ টি ভোট
আইসোটোপ কাকে বলে
যে পরমানু বা অণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা এবং ভরসংখ্যা ভিন্ন, তাকে আইসোটোপ বলে।
avatar
+১ টি ভোট
অপসারণ বিক্রিয়া কি?
যে বিক্রিয়ায় কোন যৌগের অণুস্থ পাশাপাশি দুটি বা চারটি পরমাণু বা মূলক অপসারিত হয়ে অসম্পৃক্ততার সৃষ্টি হয় তাকে অপসারণ বিক্রিয়া বলে। অপসারণ বিক্রিয়া দুই প্রকার।

১. E1 বিক্রিয়া

২. E2 বিক্রিয়া
avatar
+১ টি ভোট
কার্বিল অ্যামিন পরীক্ষা কি?
অ্যালকোহলীয় কস্টিক পটাসের সাথে ক্লোরোফরম ও প্রাইমারী অ্যামিন উত্তপ্ত করলে বিশ্রী গন্ধযুক্ত কার্বিল অ্যামিন উৎপন্ন হয়।
avatar
+১ টি ভোট
অ্যালকাইল হ্যালাইড কাকে বলে?
অ্যালকাইল হ্যালাইড বা অ্যারাইল হ্যালাইড হলো এমন একটি যৌগ যেখানে একটি অ্যালকেইনের এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু একটি হ্যালোজেন পরমাণু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
avatar
+১ টি ভোট
প্যারাফিন কি?
প্যারাফিন অর্থ আসক্তিহীন। সাধারণত অ্যালকেনকে প্যারাফিন বলা হয়। যেমন: মিথেন, ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন ইত্যাদি হলো প্যারাফিন জাতীয় যৌগ।
avatar
+১ টি ভোট
ভরসংখ্যা কাকে বলে?
পরমানুর মধ্যস্থ ইলেক্ট্রনসমূহের ভর অতি নগন্য। প্রকৃতপক্ষে পরমানুর ভর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যার ওপর নির্ভরশীল।  কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যাকে ঐ মৌলের ভরসংখ্যা বলে।
avatar
+১ টি ভোট
বর্তমান রসায়নের জনক কে?
পূর্বে আলকেমিস্ট জাবির ইবনে আল হায়ান কে রসায়নের জনক বলা হলেও, বর্তমানে অ্যান্টনি ল্যাভয়শিয়েকে রসায়নের জনক বলা হয়।  
avatar
+২ টি ভোট
ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি এগুলো সাধারণত বিকাল কিংবা রাতেই ঘটে কেন?

ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি সাধারণত বিকাল কিংবা রাতেই ঘটে কারণ এই সময়েই বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।


কারণসমূহ:

  • সূর্যের তাপ: দিনের বেলায় সূর্যের তাপ মাটি এবং জলের পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। এর ফলে, উত্তপ্ত বাতাস উপরে উঠতে থাকে।
  • আর্দ্রতা: দিনের বেলায়, বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • ঠান্ডা বাতাস: বিকালের দিকে, ঠান্ডা বাতাসের স্তর নিচের দিকে নেমে আসতে থাকে।


এই তিনটি বিষয় একত্রিত হলে বায়ুমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।

  • অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলে:
    • ঝড়ো হাওয়া তৈরি হয়।
    • মেঘ দ্রুত ঘনীভূত হয়।
    • বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
    • শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


বিকাল এবং রাতের দিকে সূর্যের তাপ কমে আসে, ঠান্ডা বাতাসের প্রভাব বৃদ্ধি পায়, বায়ুমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। ফলে, ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


কিছু ব্যতিক্রম:

  • কখনো কখনো ভোরবেলা বা সকালেও ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
  • শীতকালে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি কম হয়।
avatar
+৩ টি ভোট
সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রং লাল দেখায় কেন?
সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখানোর কারণ হলো আলোর বিক্ষেপণ বা বিচ্ছুরণ।

সূর্যের আলো আসলে সাদা, যার মধ্যে সব রঙের আলো মিশে থাকে। যখন এই আলো বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে আসে, তখন গ্যাসের অণু এবং ধূলিকণা দ্বারা আলোর কিছু অংশ ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াকেই বিক্ষেপণ বলা হয়।

বিভিন্ন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, নীল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আসার সময় নীল রঙের আলো বেশি ছড়িয়ে পড়ে। লাল রঙের আলো কম ছড়িয়ে পড়ে, বরং সরলরেখায় আমাদের চোখে এসে পৌঁছায়।

ভিজিবল আলোর মধ্যে নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলে থাকা ধূলিকণায় বাধা পেয়ে বিচ্ছুরিত হয়। এই কারণে আমরা আকাশের রঙও নীল দেখতে পাই।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্য আমাদের দিগন্তের কাছাকাছি থাকে। তখন সূর্যের আলো আমাদের কাছে পৌঁছাতে বায়ুমণ্ডলের অনেক বেশি অংশ ভেদ করে আসে। এই অতিরিক্ত বায়ুমণ্ডল দ্বারা নীল রঙের আলো আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লাল রঙের আলো ছাড়া অন্য রঙের আলো আমাদের চোখে পৌঁছাতে পারে না।

এই কারণেই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্য লাল দেখায়।
avatar
+৩ টি ভোট
সনিক বুম (Sonic Boom) বলতে কি বুঝায়?

সনিক বুম বলতে বোঝায় শব্দের বেগের কাছাকাছি বা তার চেয়েও বেশি বেগে চলাচলকারী কোনো বস্তু, যেমন বিমান বা গুলি, যখন বায়ুকে অনেক দ্রুত ঠেলে সরিয়ে দেয় তখন সৃষ্ট ঘাত তরঙ্গ (shock wave) থেকে উৎপন্ন তীব্র শব্দকে। এটি শুনতে অনেকটা বাজ পড়ার শব্দের মতো।


সনিক বুমের কারণ:

যখন কোনো বস্তু শব্দের বেগের চেয়ে বেশি বেগে চলে, তখন বস্তুটির সামনের বায়ু সরে যাওয়ার জন্য সময় পায় না। এর ফলে বস্তুটির চারপাশে শক ওয়েভ তৈরি হয়। এই শক ওয়েভ বায়ুতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই শক ওয়েভ আমাদের কানে পৌঁছালে তখন আমরা সনিক বুম শুনতে পাই।


সনিক বুমের বৈশিষ্ট্য:

  • সনিক বুম খুবই তীব্র শব্দ হতে পারে, এর তীব্রতা ২০০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে যেতে পারে।
  • এটি শুনতে অনেকটা বাজ পড়ার শব্দের মতো।
  • সনিক বুম খুবই স্বল্পস্থায়ী হয়, এটি সাধারণত কয়েকশো মিলিসেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়।
  • সনিক বুম শুধুমাত্র তখনই শোনা যায় যখন কোনো বস্তু শব্দের বেগের কাছাকাছি বা শব্দের বেগের চেয়ে বেশি বেগে মুভ করে।
avatar
+৩ টি ভোট
বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়না কেন?

হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম গ্যাসের চেয়ে হালকা হওয়া সত্ত্বেও বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয় না। এর কারণ হলঃ

  • হাইড্রোজেন গ্যাস দাহ্য। অক্সিজেন এবং তাপ বা আগুনের সংস্পর্শে এলে এটি সহজেই জ্বলে উঠতে পারে। তাই আগুনের কাছে বা উচ্চ তাপমাত্রার কাছাকাছি বেলুন রাখা হলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে।
  • হাইড্রোজেন গ্যাস দীর্ঘস্থায়ী নয়। বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে এটি জলে পরিণত হয়। তাই বেলুনে হাইড্রোজেন এর সাথে বাতাস মিশ্রিত হলে এটি ধীরে ধীরে বেলুনের ভিতরের চাপ কমে নিভে যায়।


হিলিয়াম গ্যাস দাহ্য নয় এবং দীর্ঘস্থায়ী। তাই এটি বেলুনে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর।


তাই সবকিছু বিবেচনায় হিলিয়াম হাইড্রোজেন এর তুলনায় দামী হওয়া সত্ত্বেও বাণিজ্যিকভাবে বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

avatar
+৩ টি ভোট
S.T.P বলতে কি বুঝায়? এর মান কত?

S.T.P এর পূর্ণরূপ হল Standard Temperature and Pressure। বাংলায় একে প্রমাণ উষ্ণতা/তাপমাত্রা ও চাপ বলা হয়। S.T.P হল এমন একটি মান যাতে গ্যাসের আচরণকে আদর্শ গ্যাসের আচরণের সাথে তুলনা করা যায়।


S.T.P এর মান গুলো হলঃ

  • তাপমাত্রাঃ 0°C বা 273.15 K
  • চাপঃ 1.01325×10⁵Pa বা 1 atm
  • এক মোল গ্যাসের আয়তনঃ 22.414 L
avatar
+৩ টি ভোট
হাইড্রোলিক্স কি?
হাইড্রোলিক্স হল তরলের চাপ এবং প্রবাহের বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে সম্পর্কিত প্রকৌশল বিজ্ঞানের একটি শাখা। এটি স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থায় তরল পদার্থের আচরণ এবং ব্যবহার অধ্যয়ন করে।
+৩ টি ভোট
ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠলে তাপমাত্রা হ্রাস পায় কেন?

ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠলে তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রধানত দুটি কারণে:

  • বায়ুমণ্ডলের চাপ হ্রাস পায়: উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব এবং চাপ হ্রাস পায়। বায়ুমণ্ডলের চাপ তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব কমলে তাপ ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলের চাপ বেশি হলে তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং বায়ুমণ্ডলের চাপ কম হলে তাপমাত্রা কম থাকে।
  • ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপশক্তির পরিমাণ হ্রাস পায়: ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপশক্তি আকাশের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে, ফলে বায়ুতে তাপশক্তির পরিবহন কম হয়। ফলে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়।


ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠলে তাপমাত্রা হ্রাসের হার সাধারণত ৬.৫° সেলসিয়াস/কিলোমিটার হারে থাকে। তবে, উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমণ্ডলের গঠন পরিবর্তিত হয়। তাই, উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা হ্রাসের হারও পরিবর্তিত হতে পারে।

avatar
+২ টি ভোট
অনেক উচ্চতায় প্লেন চলার সময় পিছনে সাদা ধোয়ার মতো দাগ দেখা যায় কেন?
উচ্চ-উচ্চতার প্লেনগুলির পিছনে যে দৃশ্যমান সাদা ধোয়ার মত দেখা যায় সেটি কনট্রেইল নামে পরিচিত, যা কন্ডেনসন ট্রেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ঘটে যখন জেট ইঞ্জিন থেকে উত্তপ্ত নিষ্কাশন গ্যাস উপরের হিমশীতল বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে বরফ কণায় পরিণত হয়।

জেট ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং অক্সিজেন বার্ন হয়ে নিষ্কাশন রূপে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলীয় বাষ্প নিঃসরিত হয়। আমরা জানি উচ্চ-উচ্চতায় বায়ুমণ্ডল অনেক ঠান্ডা থাকে। প্লেন যখন এমন উচ্চতা দিয়ে উড়ে যেখানে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বরফ জমার জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার নিচে থাকে তখন জেট ইঞ্জিনের নিষ্কাশন গ্যাস উপরের হিমশীতল বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে জলীয় বাষ্প দ্রুত ঠান্ডা হয়ে বরফ কণায় পরিণত হয়, যা জেট ইঞ্জিনের পিছনে একটি দৃশ্যমান সাদা পথ তৈরি করে। আমরা মূলত এটিকেই সাদা ধোয়ার মতো দেখতে পাই।
avatar
+২ টি ভোট
নন নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলতে কি বোঝায়?

নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়ে থাকে ওইসব ফ্লুইড / প্রবাহী পদার্থকে যেগুলোর সান্দ্রতা (Viscosity) তার উপর চাপ প্রয়োগের সাথে পরিবর্তিত হয়। এদের নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয় কারণ এসব ফ্লুইড নিউটনের সান্দ্রতার সূত্র মেনে চলে না। সান্দ্রতা হলো প্রবাহী পদার্থের একটি গুণ যেটা বর্ণনা করে পদার্থটির প্রবাহের প্রতি প্রতিরোধের পরিমাণ। নিউটনের সন্দ্রতার সূত্র অনুসারে কোনো পদার্থের সান্দ্রতা সব ক্ষেত্রে ধ্রুবক। কিন্তু নন-নিউটনিয়ান পদার্থের ক্ষেত্রে এর সান্দ্রতা এর উপর প্রযুক্ত চাপের সাথে পরিবর্তিত হয়। নিউটনের সন্দ্রতার সূত্র মে না চলার কারণেই এদের নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড বলা হয়।


নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইড দুই ধরনের হয়:

  • সিউডোপ্লাস্টিক (Pseudoplastic): সিউডোপ্লাস্টিক বলা হচ্ছে সেসকল নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইডকে যেগুলোর সন্দ্রতা চাপ প্রয়োগের সাথে কমে অর্থাৎ চাপ প্রয়োগ করলে সহজে প্রবাহিত হয়।
  • ডাইলাট্যান্ট (Dilatant): ডাইলাট্যান্ট বলা হচ্ছে সেসকল নন-নিউটনিয়ান ফ্লুইডকে যেগুলোর সন্দ্রতা চাপ প্রয়োগের সাথে বাড়তে থাকে অর্থাৎ চাপ প্রয়োগ করলে যেগুলোর প্রবাহ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
+৪ টি ভোট
ডায়মন্ড কাটা হয় কিভাবে?
আমরা জানি ডায়মন্ড সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হিসেবে বিবেচিত। তাহলে একে কাটা হয় কিভাবে?

টি উত্তর
avatar
+৪ টি ভোট
জ্বর আসলে শরীর গরম থাকে কিন্তু তারপরেও ঠান্ডা লাগে কেন?
জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এটা মূলত আমাদের শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি পদ্ধতি। উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে এবং ব্যাকটেরিয়া প্রজননকে ধীর করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এভাবে উচ্চ তাপমাত্রা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ হিউম্যান বডির সাধারণ তাপমাত্রা 36.8°C বা 98°F। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে আমাদের শরীর এই তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আগে যেখানে শরীরের তাপমাত্রা 36.8°C থাকলে আমাদের স্বাভাবিক মনে হতো এখন এতে ঠান্ডা অনুভূত হবে। ফলে আমাদের শরীর তার তাপমাত্রা বর্তমান স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পৌঁছাতে বিভিন্ন উপায়ে তাপ উৎপাদন করে। ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু তাপমাত্রা শরীরের বর্তমান সাধারণ তাপমাত্রায় না পৌঁছানোয় ঠান্ডা অনুভূত হয়। এভাবেই মূলত জ্বর আসলে শরীর গরম থাকে কিন্তু তারপরেও ঠান্ডা লাগে।
avatar
+৩ টি ভোট
ফেরো ম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল বলতে কি বুঝায়?
ফেরো (Ferro) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ferrum থেকে এসেছে, যা দিয়ে লোহা / আয়রন বোঝানো হয়। আর ফেরো ম্যাগনেটিক ম্যাটেরিয়াল বলতে সেসব পদার্থকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো চুম্বক এর সাথে লোহার ন্যায় আচরণ করে। অর্থাৎ সহজ কথায়  ফেরো ম্যাগনেটিক পদার্থ বলতে যেসব পদার্থ চুম্বক কর্তৃক আকর্ষিত হয় সেগুলোকে বুঝায়।
avatar
+২ টি ভোট
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কিভাবে কাজ করে?

ইনফ্রারেড থার্মোমিটার: একটি নন-কন্টাক্ট থার্মোমিটার, এটি এমন একটি ডিভাইস যা কোনো বস্তুকে স্পর্শ না করেই তার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে। ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কোনো বস্তু থেকে নির্গত ইনফ্রারেড রেডিয়েশন এর পরিমাণ সনাক্ত করার মাধ্যমে তার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করে। ইনফ্রারেড রেডিয়েশন মূলত একধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগেটিক রেডিয়েশন যা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না।


ইনফ্রারেড থার্মোমিটারে থার্মোপাইল নামক একটি বিশেষ সেন্সর থাকে যেটা ইনফ্রারেড রেডিয়েশন সনাক্ত করতে পারে। যোখন ইনফ্রারেড রেডিয়েশন থার্মোপাইলে আঘাত করে তখন থার্মপাইল এই রেডিয়েশন শোষণ করে একটি ছোট্ট বৈদ্যুতিক সিগন্যালে রূপান্তর করে। এরপর এই সিগন্যালকে অ্যাম্পলিফাই করে তাপমাত্রা রিডিং হিসেবে ডিসপ্লেতে প্রদর্শন করা হয়।


ইনফ্রারেড থার্মোমিটার কতোটা নিখুঁত রিডিং প্রদান করবে সেটা কিছু ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে, যেমন:

  • থার্মোমিটার এবং বস্তুর দুরত্ব
  • চারপাশের পরিবেশের অবস্থা
  • সেন্সর এর ধরন ইত্যাদি।
আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন

২৮৭ টি প্রশ্ন

২৭৬ টি উত্তর

২৯ টি মন্তব্য

৪৫ জন সদস্য

এই মাসের সেরা সদস্যগন

  1. avatar

সাম্প্রতিক ব্যাজ সমুহ

alaminhossain ১৯ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever ১৫ ৬৩ ২২৭ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
তান একটি ব্যাজ পেয়েছেন
...