টেক জ্ঞান - প্রশ্ন উত্তর

avatar
+১ টি ভোট
AI Artworks তৈরী করে কি টাকা ইনকাম করা যায়?
বর্তমানে AI এর ব্যবহার সবখানেই, AI দিয়ে নিজের মনোভাবকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়। এই ছবি গুলো থেকে কি ইনকাম করার কোনো উপায় আছে? বিস্তারিত জানতে চাই।

টি উত্তর
avatar
+৪ টি ভোট
ক্যাশ (Cache) কি?

ক্যাশ হলো ঐ সকল ডেটা যা একটি কম্পিউটার এর বার বার দরকার হয়। কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার উভয়ই ক্যাশ ব্যবহার করে। একটি কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের ক্যাশ ব্যবহার করে যেমন, ব্রাউজার ক্যাশ, মেমরি ক্যাশ, প্রসেসর ক্যাশ।

ব্রাউজার ক্যাশ

অধিকাংশ ব্রাউজার ওয়েবপেজ এর ডেটা ক্যাশ হিসেবে সংরক্ষণ করে। যেমন, একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোড হয় যেমন, HTML, CSS, JS, ইমেজ, লোগো ফন্ট ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু ফাইল সর্বদা দরকার হয় যেমন লোগো, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি। এগুলোকে ব্রাউজার ক্যাশ হিসিবে সংরক্ষণ করে। এতে দ্বিতীয়বার যখন সেই সাইটটি ভিজিট করা হয় তখন অনেক দ্রুত লোড হয়ে যায়। ব্রাউজার যদি ক্যাশ ব্যবহার না করতো তবে প্রতিবার ওয়েব পেজ লোড করতে অনেক সময় লাগতো। সেইসাথে আমাদের অনেক ব্যান্ডউইথ খরচ হতো।

মেমরি ক্যাশ

কোন এপ্লিকেশন রান করার সময় সংশ্লিষ্ট ডাটা র‌্যাম এর মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি গেম যখন রান করা হয় তখন এর মধ্যে থাকা ক্যারেক্টার এর থ্রিডি মডেল, ম্যাপ, রাস্তা, গাছপালা আরো বিভিন্ন ডাটা ক্যাশ হিসেবে র‌্যাম এর মধ্যেই সংরক্ষণ করা হয়। যেহেতু র‍্যাম হার্ড ড্রাইভ থেকে দ্রুত তাই আমরা বিনা বাধায় গেমটি খেলতে পারি।

প্রসেসর ক্যাশ 

প্রসেসরের মধ্যেও ক্যাশ মেমোরি থাকে। একটি প্রসেসরকে কিছু ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী বারবার কাজ করতে হয়। এই ডাটাগুলো প্রসেসর এর ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষণ করা থাকে। এটি প্রসেসরকে দ্রুত কাজ করতে সহায়তা করে। প্রসেসরের ক্যাশ মেমরি অনেক ছোট (কয়েক কিলোবাইট) হয়ে থাকে। তবে মডার্ন প্রসেসর এর ক্যাশ মেমোরি কয়েক মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

avatar
+৪ টি ভোট
এইচডিআর (HDR) কি?

HDR মানে হলো High Dynamic Range । এটি এমন এক টেকনোলজি যেটা ডিজিটাল ইমেজ এর কালার এবং কনট্রাস্ট রেঞ্জ এর উন্নতিতে কাজ করে। ফটো এবং ভিডিও দুইয়েই ব্যবহার করা যায় এইচডিআর।


ফটোগ্রাফিতে HDR 

এইচডিআর ফটো তৈরি হয় একই সময়ে বিভিন্ন এক্সপোজার'এ একাধিক ফটো ক্যাপচার করার মাধ্যমে। শুধু একটা ফটো তোলার বদলে HDR মোড'এ ক্যামেরা ৩ টি বা তারচেয়ে বেশি ফটো তুলে থাকে। উদাহরন স্বরুপ, ডিজিটাল ক্যামেরা টি মনেকরেন প্রথমে একটি ফটো তুললো -1 এক্সপোজারে, একটি ফটো তুললো অটোমেটিক এক্সপোজারে, একটি তুললো +1 এক্সপোজারে এবং সব শেষে সব গুলোরে কম্বাইন্ড করে একটা আউটপুট দিল। যেটাকে আমরা তখন বলবো এইচডিআর (HDR) ফটো। 


এমন এক পরিস্থিতিতে, যখন আপনি আলো ছায়ার কম্বিনেশনে ছবি তুলতে চাচ্ছেন কিন্তু পারতেছেন না। যেমন, দিনের আলোতে ঘরের ভেতর থেকে জানালার ছবি যখন তুলতে যাবেন দেখবেন এক্সপোজার বাড়িয়ে দিলেও ছবি বার্ন হচ্ছে আবার কমিয়ে দিলেও ঘরের ভেতরের কিছুই দেখা যাচ্ছে নাহ। এমন অবস্থায় এইচডিআর মোড ব্যবহার করলে ভালো ছবি পাওয়া যায়।

avatar
+৩ টি ভোট
ইয়ারফোন এবং হেডফোন কি একই নাকি আলাদা?

ইয়ারফোন এবং হেডফোন উভয়ই শব্দ শোনার জন্য ব্যবহৃত অডিও ডিভাইস। তবে তাদের ম‌ধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। 


ইয়ারফোনগুলি ইন-ইয়ার হেডফোন বা ইয়ারবাড নামেও পরিচিত। এটি ছোট, হালকা ওজনের ডিভাইস যা সরাসরি কানে লাগা‌নো হয়। ইয়ারফোনগুলি পোর্টেবল এবং সুবিধাজনক, এটি স্মার্টফোন এবং পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ারের মতো মোবাইল ডিভাইসগুলির জন্য জনপ্রিয়৷ 

অন্যদিকে, হেডফোনগুলি আকারে বড় ডিভাইস যা কানকে ঢেকে রাখে। এগুলি বিভিন্ন ডিজাইনের হয়, যেমন: ওভার-ইয়ার (সার্কুমাউরাল) বা অন-ইয়ার (সুপ্রা-আউরাল)। হেডফোনগুলি তাদের বড় ড্রাইভার এবং ইয়ারকাপ ডিজাইনের কারণে ইয়ারফোনগুলির তুলনায় প্রায়শই ভাল শব্দ এবং গুণমান প্রদান করে। এগুলি তারযুক্ত বা তারহীন (ব্লুট্রুথ প্রযু‌ক্তি) হতে পারে। 

সংক্ষেপে, ইয়ারফোন এবং হেডফোনগুলির মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি তাদের ফর্ম ফ্যাক্টর, আকার, ফিট এবং শব্দ কার্যকারিতার উপর নির্ভর ক‌রে। ইয়ারফোনগুলি ছোট, কানের গর্তের ভিতরে ফিট হয় এবং বহনে সহজ। ইয়ারফোন এবং হেডফোন ব্যহারকারীর ব্যক্তিগত পছন্দ, কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা এবং নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে।
avatar
+৩ টি ভোট
বেটা সফটওয়্যার (Beta Software) বলতে কি বোঝায়?

সফটওয়্যারের বিটা (Beta) সংস্করণ সাধারণত একটি প্রাক-রিলিজ সংস্করণ যা পরীক্ষা এবং প্রতিক্রিয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত ‌সু‌বিধা দিয়ে তৈরী করা হয়। একটি বিটা সংস্করণের প্রাথমিক লক্ষ্য হল বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতিতে সফটওয়্যারটি কতটা কার্যকর সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা, কোনো বাগ বা সমস্যা থাকলে চিহ্নিত করা এবং চূড়ান্ত প্রকাশের উন্নতির জন্য ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক সংগ্রহ করা। বুঝার সু‌বিধা‌র্থে এখানে একটি বিটা সংস্করণের কিছু মূল দিক এবং উদ্দেশ্য তুলে ধরলাম: 


১) পরীক্ষা: 

বিটা সংস্করণগুলি সফ্টওয়্যার ডেভলপারদের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার বাইরে আরও বিস্তৃত পরীক্ষা পরিচালনা করার সুবিধা দেয়। ডেভলপাররা সফটওয়্যারটি একটি বৃহত্তর ইউজার বেসের জন্য উপলব্ধ করার মাধ্যমে সফটওয়্যারটি বিভিন্ন সিস্টেম, কনফিগারেশন এবং ব্যবহারের ধরনে কতটা কার্যকর সে সম্পর্কে ডেটা সংগ্রহ করতে পারে। এটি বাগ, সামঞ্জস্যের সমস্যা এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ত্রুটি সনাক্ত করতে সহায়তা করে। 


২) বাগ শনাক্তকরণ: 

বিটা সংস্করণের ব্যবহারকারীদেরকে তাদের সম্মুখীন হওয়া কোনো বাগ বা সমস্যা সম্পর্কে ডেভলপারকে অবগত করতে উৎসাহিত করা হয়। এই বাগ রিপোর্টগুলি ডেভলপারদের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার সময় মিস করা সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে এবং সমাধান করতে সহায়তা করে। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করে, ডেভলপাররা সফটওয়্যারটির স্থায়িত্ব, কর্মক্ষমতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে পারে। 


৩) প্রতিক্রিয়া এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা: 

বিটা সংস্করণে প্রায়শই ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যারটির সাথে তাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে ফিডব্যাক প্রদানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ফিডব্যাক বিভিন্ন দিক কভার করতে পারে, যেমন ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ব্যবহারযোগ্যতা, বৈশিষ্ট্যের পরামর্শ এবং সামগ্রিক সন্তুষ্টি। ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক সংগ্রহ করা ডেভেলপারদের বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী উন্নতি করতে।


৪) পুনরাবৃত্তিমূলক বিকাশ: 

বিটা সংস্করণগুলি পুনরাবৃত্তিমূলক বিকাশ প্রক্রিয়ার একটি অংশ। বিটা পরীক্ষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ফিডব্যাক এবং ডেটা ডেভেলপারদের অফিসিয়াল রিলিজের আগে সফটওয়্যারটিকে পরিমার্জন এবং উন্নত করতে দেয়। এটি কোনো অবশিষ্ট সমস্যা সমাধানে, কর্মক্ষমতা উন্নত করতে, অনুরোধ করা বৈশিষ্ট্য যোগ করতে এবং সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা পূরণ করে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। 


এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বিটা সংস্করণগুলিতে এখনও বাগ বা অসম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে এবং সেগুলি ব্যাপক বা সমালোচনামূলক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়। বিটা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্যবহারকারীদের প্রাক-রিলিজ সফটওয়্যার ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। পরিশেষে, একটি বিটা সংস্করণের উদ্দেশ্য হল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে মূল্যবান ফিডব্যাক এবং অন্তর্দৃষ্টি সংগ্রহ করা, যা সফটওয়্যারটির আরও পালিশ এবং স্থিতিশীল চূড়ান্ত প্রকাশের দিকে নিয়ে যায়।

avatar
+২ টি ভোট
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন বলতে কি বোঝায়?
এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন একটি নিরাপদ কমিউনিকেশন ব্যবস্থা যাতে তথ্য উৎসে এনক্রিপ্ট করে তারপর পাঠানো হয় এবং তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর পর পুনরায় ডিক্রিপ্ট করা হয়, যা দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করে।

প্রথাগত সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনো ইমেইল বা মেসেজিং অ্যাপ এর মাধ্যমে পাঠানো তথ্য একাধিক সার্ভারের মাধ্যমে তবেই চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছায়। এরই মাঝে তথ্য পুরো রাস্তা পারি দেবার আগে কেউ প্রেরিত তথ্য দেখে নেবার সম্ভাবনা থাকে, যা মোটেও কাম্য নয়। এই সমস্যারই সমাধান করে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সিস্টেম। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর ক্ষেত্রে সেটা প্রেরকের দিভাইজেই একটি ইউনিক কি এর মাধ্যমে এনক্রিপ্ট করা হয় এবং এই কি শুধুমাত্র প্রেরক এবং গ্রাহক এর কাছে থাকে। ফলে তথ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে অন্য কারো হাতে পৌঁছালেও তার কাছে সেই তথ্যের এনক্রিপশন কি না থাকায় সেটা তার কাছে অপঠনযোগ্য থাকে, ফলে তথ্য যে কোনো তৃতীয় পক্ষের থেকে সর্বদাই সুরক্ষিত থাকে।
avatar
+৪ টি ভোট
পুরনো ছবি ঠিক করবো কিভাবে?

ব্লার, নয়েজ ফটো এনহেন্স করার জন্য বর্তমানে অনেক টুলস উপলব্ধ আছে। যেমন সবচেয়ে কমন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ দিয়েই ফটো এনহেন্স এর কাজ করা যায়। ফটোশপের মাধ্যমে এনহেন্স করতে হলে ফটোশপের উপরে কিছুটা হলেও দক্ষতা থাকতে হবে। তবে এমনও কিছু টুল পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে বিনা দক্ষতায় কয়েকটা ক্লিক এই কাজ করে নিতে পারবেন।

 

নিচে এমনই একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর সম্পর্কে বলতেছি যে এটার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি আপনার ফটোকে এনহেন্স করতে পারবেন। অ্যাপটি প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। অ্যাপ এর নাম হলো "Remini"


অ্যাপটি ইন্সটল করে ওপেন করুন। প্রথমবারের মতো যেসব পারমিশন লাগে এগুলো দিয়ে দিন। এবার একটি ফটো সিলেক্ট করুন যেটা আপনি এনহেন্স করতে চাচ্ছেন। এবং "Enhance" বাটনে ক্লিক করুন। 

image

এবার আপনাকে তারা একটি এড দেখাবে। একটি দেখে শেষ পর্যন্ত দেখে ক্লোজ করে দিন। এড দেখার কিছুক্ষণ পরে আপনার ফটোটি ইনহেন্স হয়ে যাবে এবং আপনি রেজাল্ট দেখতে পাবেন। 

image

এবার ফটোটি আপনি সেভ করে নিতে পারবেন উপরের ডান পাশে থাকা ডাউনলোড আইকনটির উপরে ক্লিক করে। 


এভাবে খুব সহজে আপনার যেকোন ফটোকে এনহেন্স করতে পারবেন হাতে থাকা স্মার্টফোন টির মাধ্যমেই।

avatar
+৪ টি ভোট
মেবিবাইট (Mebibyte) কি?

Mebibyte হলো একটি মেজারমেন্ট ইউনিট যেটা কম্পিউটার এর ডেটা স্টোরেজ মাপার জন্য ব্যাবহার করা হয়। এটা 2^20 অথবা 1,048,576 বাইট এর সমান। (MiB) হলো Mebibyte এর সংক্ষিপ্ত রূপ।


Mebibyte এবং Megabyte এর মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য হয় না। এক মেগাবাইট এবং মেবিবাইট কে কিলোবাইটে কনভার্ট করলে আমরা যথাক্রমে পাই ১০০০ এবং ১০২৪ বাইট। মেগাবাইট এ ব্যাবহার হয় 10^n ভিত্তিক পদ্ধতি (Power Of 10) যেখানে n হল ১০ এর সূচক। অন্যদিকে মেবিবাইট ব্যাবহার করে বাইনারি সিস্টেম। যেটা হল Power of 2 ভিত্তিক পদ্ধতি (2^n)। 


ডিস্ক ড্রাইভ ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি গুলো সাধারনত Power of 10 ভিত্তিক মেগাবাইট মেজারমেন্ট ইউনিট ব্যাবহার করে। এবং এভাবেই সকল স্টোরেজ বাজারজাত করা হয়। কিন্তু অন্যদিকে কম্পিউটার সিস্টেম এ ব্যাবহার হয় Power of 2 ভিত্তিক মেবিবাইট ইউনিট। ফলস্বরূপ দেখা যায় যে আমরা যখন কোন স্টোরেজ এর সাইজ দেখতে যায় তখন সাইজ কিছুটা কম দেখায়।

avatar
+৪ টি ভোট
ওপেন সোর্স বলতে কি বোঝায়?

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বলতে বোঝায় যেসব সফটওয়্যার এর সোর্স কোড পাবলিকলি উন্মুক্ত। যেহেতু ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত এজন্য যেসব সফটওয়্যার ওপেন সোর্স সেগুলো ডেভেলপ এর কাজ যে কোন সফটওয়্যার ডেভেলপার করতে পরে যেটা সাধারনত বাণিজ্যিক (যেমন অ্যাডবি) সফটওয়্যার গুলোতে সম্ভব না।


ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এর সুবিধা

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর সমস্ত কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত। সফটওয়্যার এর সমস্ত কার্যক্রম তার কোড থেকেই দেখা সম্ভব। যেমন মনে করুন, একটি ক্লোজ সোর্স সফটওয়্যারে আপনি দেখতে পাবেন না যে সেই সফটওয়্যারটি আপনার কি কি ডেটা কালেক্ট করতেছে, কিন্তু ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে আপনি সেটার কোড গুলো যাচাই করে দেখতে পারবেন সফটওয়্যার টি আপনার কোন কোন ডেটা কালেক্ট করতেছে।


ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো সাধারণত ফ্রি হয়ে থাকে। ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলতে সারা পৃথিবী থেকে শত, হাজারো ডেভলপার কাজ করে। এ কারণেই ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো ফ্রি হয়ে থাকে অন্যদিকে এডোবির মত কমার্শিয়াল সফটওয়্যার গুলো লিগালি ব্যবহারের জন্য টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়।


বিভিন্ন ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের অনেক বড় বড় কমিউনিটি থাকে যেখানে সে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার রিলেটেড যাবতীয় সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়। তবে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এ সাধারণত অফিশিয়াল সাপোর্ট পাওয়া যায় না।


avatar
+৩ টি ভোট
জিপিএস কিভাবে কাজ করে?

জিপিএস এর পূর্ণরূপ হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। এটি কিছু সংখ্যক স্যাটেলাইটের একটি নেটওয়ার্ক যা পৃথিবীতে কোনো বস্তুর অবস্থান নির্ধারণের ব্যবহৃত হয়। জিপিএস একটি জিপিএস রিসিভার এবং কমপক্ষে চারটি জিপিএস স্যাটেলাইটের মধ্যে দূরত্ব পরিমাপের মাধ্যমে অবস্থান নির্ধারণ করে। এটি একটি একমুখী পদ্ধতি, এখানে শুধু জিপিএস স্যাটেলাইট রিসিভারে সিগন্যাল পাঠায়, রিসিভার স্যাটেলাইটের সাথে কোনো যোগাযোগ করে না।


জিপিএস স্যাটেলাইট গুলো অনবরত পৃথিবীতে একটি সিগন্যাল পাঠায়। এই সিগন্যাল যেকোনো জিপিএস রিসিভার রিসিভ করতে পারে। এই সিগন্যাল এর মধ্যে সিগন্যাল কোন সময়ে তৈরি হয়েছে সেটা এবং সেই স্যাটেলাইটের পজিশন ডাটা থাকে। রিসিভার এই সিগন্যাল রিসিভের সময় এবং সিগন্যালের মধ্যে থাকা সময়ের পার্থক্য থেকে স্যাটেলাইট এবং রিসিভারের মধ্যে দুরত্ব পরিমাপ করে। এরপর সবগুলো স্যাটেলাইট থেকে থেকে রিসিভারের দুরত্ব ব্যবহার করে ট্রাইলেটারেশন বা ত্রিপক্ষীকরন নামক এক প্রক্রিয়া বাবিহার করে রিসিভারের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।


জিপিএস ট্রাইলেটারেশন


ট্রাইলেটারেশন একটি গাণিতিক প্রক্রিয়া যেখানে তিন বা তার বেশি বিন্দুর দূরত্ব এবং অবস্থান ব্যবহার করে একটি চতুর্থ বিন্দুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়। জিপিএস এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়, এতে প্রথম তিনটি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে গণনায় ভুল হলে চতুর্থ স্যাটেলাইটটি ভিন্ন অবস্থান প্রদান করবে। এতে রিসিভার পুনরায় গণনা করে তার গণনা সংশোধন করতে পারে। রিসিভার তার অবস্থান তিনটি মাত্রায় গণনা করেঃ অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং উচ্চতা। জিপিএস অত্যন্ত সঠিকভাবে মাত্র কয়েক মিটারের মধ্যে রিসিভারের অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম।

avatar
+৩ টি ভোট
রোমিং বলতে কি বোঝায়?

রোমিং হলো এক ধরনের সেবা যার মাধ্যমে একটি দেশের সিম কার্ড আরেকটি দেশে চালানো সম্ভব হয়। 


যেমন, ধরুন আপনি দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলেন। এক্ষেত্রে রোমিং সেবার মাধ্যমে আপনার সিম কার্ডটি সেই দেশেও চালানো সম্ভব হবে যদিও সেই দেশে আপনার সিম অপারেটর টি নাও থাকে।

রোমিং সেবা নিতে হলে নিজ অপারেটর এর মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। রোমিং এর চার্জ অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে চার্জ এড়াতে রোমিং এ ডেটা ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে। রোমিং ডেটা বন্ধ করা যাবে ফোনের সিম সেটিংস থেকে "Roaming" অপশন টি বন্ধ করার মাধ্যমে।
avatar
+৪ টি ভোট
অ্যামোলেড (AMOLED) এবং ওলেড (OLED) ডিসপ্লের মধ্যে পার্থক্য কি?

অ্যামোলেড এবং ওলেড এরা উভয়ই মূলত ওলেড স্ক্রিন। এদের মূল কার্যপদ্ধতি একই। এরা উভয়ই জৈব পদার্থ ব্যবহার করে আলো উৎপাদন করে। এক্ষেত্রে এই জৈব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এই পদার্থ থেকে আলো নিসরিত হয় যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্ক্রিনে ছবি দেখানো হয়।


অ্যামোলেড ডিসপ্লেকে ওলেড থেকে যে জিনিসটা ভিন্ন তৈরি করে তা হলো এর মধ্যে থাকা পাতলা ফিল্ম ট্রানজিস্টর (TFT) অ্যারে, যা প্রতিটি পিক্সেল এর বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে। যার ফলে অ্যামোলেড ডিসপ্লে থেকে ওলেড এর তুলনায় উচ্চতর কনট্রাস্ট, উচ্চতর রিফ্রেশ রেট, এবং কম পাওয়ার খরচ এর মত সুবিধা পাওয়া যায়।


  • উচ্চতর কনট্রাস্টঃ অ্যামোলেড ডিসপ্লের পিক্সেল গুলো সম্পূর্ন রূপে বন্ধ করা যায় অপরদিকে ওলেড এ শুধুমাত্র পিক্সেল এর উজ্জ্বলতা কমানো যায়। ফলে অ্যামোলেড ডিসপ্লে ওলেড এর তুলনায় অনেক গভীরভাবে কালো তৈরি করতে পারে।
  • উচ্চতর রিফ্রেশ রেটঃ অ্যামোলেড এ থাকা TFT অনেক দ্রুত পিক্সেল এর মধ্যে সুইচিং করতে পারে, ফলে অ্যামোলেড এ ওলেড এর তুলনায় বেশি রিফ্রেশ রেট পাওয়া যায়।
  • কম পাওয়ার খরচঃ যেহেতু অ্যামোলেড এর পিক্সেল গুলো বন্ধ হতে পারে তাই যেহেতু বন্ধ অবস্থায় পাওয়ায় খরচ না হওয়ায় অ্যামোলেড ডিসপ্লে ওলেড এর তুলনায় কম পাওয়ার খরচ করে।
avatar
+৩ টি ভোট
ইউটিউবে ওয়াচ টুগেদার (Watch Together) ব্যাবহার করবো কিভাবে?

ইউটিউবে ওয়াচ টুগেদার হল একটি প্রিমিয়াম ফিচার। যার মানে হলো এটি ব্যাবহার করার জন্য অবশ্যই ইউটিউব প্রিমিয়াম কেন থাকতে হবে। 

তবে ইউটিউব ওয়াচ টুগেদার প্রিমিয়াম হলেও কিছু উপায়ে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে একসাথে ওয়াচ টুগেদার এর ফিচার এর মজা নিতে পারেন। 

কিছু ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ব্যাবহার করে ওয়াচ টুগেদার ব্যাবহার করতে পারেন। আমি এখানে একটি ওয়বসাইট সম্পর্কে বলবো যার নাম হলো Watch2Gether (w2g.tv)। 

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Create Room বাটনে ক্লিক করুন। একটি রুম তৈরি হয়ে যাবে নিচের মত করে। 
image
এবার এখন থেকে Temporary Room এর পাশে দেখুন একটি পারসন আইকন, যেটাতে ক্লিক করে রুম এর লিঙ্ক টি কপি করে আপনার ফ্রেন্ড কে পাঠাতে পারবেন।

আপনার ফ্রেন্ড যখন রুমে জয়েন করবে তখন আপনি যে ভিডিওটি তার সাথে দেখতে চান সেটার লিংক টা সেন্ড করুন। এবং তারপরে লিংক এর পাশে একটি প্লে ▶️ আইকন আসবে যেটাতে ক্লিক করার মাধ্যমে ভিডিও চালু হবে।

avatar
+৩ টি ভোট
অ্যামোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে কিভাবে কাজ করে?
অ্যামোলেড (AMOLED) এর পূর্ণরূপ হলো অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট ইমিটিং ডায়োড। এটি এমন একধরনের ডিসপ্লে টেকনোলজি যা আলো নির্গত করতে জৈব পদার্থ ব্যবহার করে। এতে জৈব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে আলো নির্গত করে।

অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে প্রতিটি পিক্সেল ছোট জৈব পদার্থ তৈরি যা সক্রিয় হলে আলো উৎপাদন করে। জৈব পদার্থ গুলো দুটি পরিবাহী পদার্থের স্তরের মাঝে স্যান্ডুইচ করা হয়। এর নিচের স্তরটি সাধারণত একটি পাতলা ফ্লিম ট্রানজিস্টর অ্যারে দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এই ফ্লিম প্রতিটি পিক্সেল এ বিদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে।

যখন একটি নির্দিষ্ট পিক্সেল এ বিদ্যুতিক সংকেত পাঠানো হয় তখন TFT সক্রিয় হয় এবং সেই পিক্সেল এর মধ্য দিয়ে অল্প পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয়, এতে জৈব পদার্থ আলো নির্গত করে যা আমরা ডিসপ্লেতে দেখতে পাই। অ্যামোলেড ডিসপ্লে এর কালার অ্যাকুরেসি অনেক ভালো হওয়ায় এতে ছবি অনেক প্রাণবন্ত দেখায়।

অ্যামোলেড ডিসপ্লে এর প্রতিটি পিক্সেল তার উজ্জ্বলতা অনুযায়ী পাওয়ার কনজিউম করে এবং পিক্সেল কালো অবস্থায় পিক্সেল সম্পূর্ন বন্ধ থাকে, ফলে অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহারে ব্যাটারি লাইফ অনেক ভালো পাওয়া যায়।
avatar
+৪ টি ভোট
এলসিডি (LCD) স্ক্রিন কিভাবে কাজ করে?
এলসিডি স্ক্রিন এমন এক ধরেনের ডিসপ্লে যা ছবি তৈরি করতে লিকুইড ক্রিস্টাল ব্যবহার করে। লিকুইড ক্রিস্টাল এমন একধরনের পদার্থ যার মধ্যে কঠিন এবং তরল উভয় ধরনের পদার্থের বৈশিষ্ট্য থাকে। এলসিডি স্ক্রিন এ দুটি পোলারাইজিং ফিল্টার এর মাঝে লিকুইড ক্রিস্টাল পদার্থ স্যান্ডুইচ করা হয়। পোলারাইজিং ফিল্টারদুটির পোলারাইজিং কোন একে অপরের সাথে 90° ব্যবধানে স্থাপন করা হয়। যেহেতু ক্রিস্টাল গুলো নিজে থেকে কোনো আলো উৎপাদন করে না তাই এদের আলোকিত করার জন্য স্ক্রিন এর পিছনের দিকে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়।

সাধারণ অবস্থায় ক্রিস্টাল গুলি স্ক্রিন এর পিছনের দিকের ফিল্টার এর পোলারাইজিং কোন অনুযায়ী অবস্থান করে। এ অবস্থায় কোনো আলো সামনের ফিল্টার ভেদ করে যেতে পারে না, ফলে পিক্সেল কালো দেখায়। যখন কোনো পিক্সেল এ ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয় তখন সেই পিক্সেল এর ক্রিস্টাল নির্দিষ্ট কোণে ঘুরে যায় ফলে ক্রিস্টাল পিছনের ফিল্টার পোলারাইজিং কোন অনুযায়ী অবস্থান না করায় এলইডি এর আলো সামনের ফিল্টার ভেদ করতে পারে এবং এই অবস্থায় ডিসপ্লে এর পিক্সেল সাদা দেখায়। ক্রিস্টাল এ প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এটা নির্ধারণ করে যে ক্রিস্টাল কতটুকু ঘুরবে এবং কতটুকু আলো ভেদ করে আসতে পারবে অর্থাৎ পিক্সেল কতুকু উজ্জ্বল হবে।

অনেকগুলো পিক্সেল এ বিভিন্ন আলোর সমন্বয়ে ডিসপ্লে একটি ছবি তৈরি করে। প্রতিটি পিক্সেল তিনটি সাব পিক্সেল এ বিভক্ত থাকে, এগুলো হলো একটি লাল, একটি সবুজ এবং একটি নীল। প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ দ্বারা প্রতিটি সাব পিক্সেল এর উজ্জল্যতা নিয়ন্ত্রন করা হয়। তিনটি সাব পিক্সেল এর বিভিন্ন উজ্জল্যতার সমন্বয়ে সম্পূর্ন পিক্সেল বিভিন্ন রঙ তৈরি করে। এভাবে সবগুলো পিক্সেল এর উজ্জ্বলতা এবং রঙ নিয়ন্ত্রন এর মাধ্যমে একটি এলসিডি স্ক্রিন যে কোন ছবি দেখাতে পারে।
avatar
+২ টি ভোট
বুর্জ খলিফা এ কিভাবে ভিডিও শো দেখানো হয়?
বুর্জ খলিফা বিল্ডিং এর গায়ে লাগানো 1.2 মিলিয়ন এর বেশি LED (এলইডি - লাইট ইমিটিং ডায়োড) লাইট ব্যবহার করে ভিডিও প্রজেকশন করা হয়। পুরো বুর্জ খলিফা বিল্ডিং এর গায়ে প্রায় 33 কিলোমিটার লম্বা RGBW ধরনের এলইডি স্ট্রিপ লাগানো রয়েছে। এই ধরনের এলইডি লাল, সবুজ, নীল এবং সাদা রঙ এর সমন্বয়ে যে কোনো রঙ তৈরি করতে পারে। এই এলইডি লাইটগুলো একত্রে একটি জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিন এর মতো কাজ করে। প্রতিটি এলইডি লাইট স্ক্রিন এর একেকটি পিক্সেল এর মতো কাজ করে। সবগুলো এলইডি স্ট্রিপ প্রায় 10000 কানেক্টর ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত। কম্পিউটার এর সাহায্যে সবগুলো এলইডি নিয়ন্ত্রন করে তাদের আলোর রঙ পরিবর্তন এর মাধ্যমে কোনো ভিডিও, অ্যানিমেশন, লাইট শো প্রদর্শন করা হয়।
avatar
+৩ টি ভোট
টাচ স্ক্রীন কিভাবে কাজ করে?

টাচ স্ক্রিন একটি ইনপুট ডিভাইস, আজকাল স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, এটিএম, স্মার্ট ওয়াচ সহ বিভিন্ন ডিভাইসে টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। সাধারণত দুই ধরনের টাচ স্ক্রীন অধিক ব্যবহার হয়ে থাকেঃ একটি হলো রেজিস্টিভ এবং অপরটি ক্যাপাসিটিভ।


রেজিস্টিভঃ

রেজিস্টিভ টাচ স্ক্রিনে দুটি সচ্ছ পরিবাহী পদার্থের স্তর আরেকটি পাতলা অপরিবাহী পদার্থের স্তর দ্বারা আলাদা করা থাকে। যখন স্ক্রিন টাচ করার ফলে স্ক্রিন এর উপর হালকা চাপ পড়ে তখন টাচ করা স্থানে পরিবাহী স্তর দুটো একে অপরকে স্পর্শ করে সার্কিট পূর্ন করে। টাচ স্ক্রিনের কন্ট্রোলার দুটো লেয়ার এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের মাধ্যমে কোন স্থানে টাচ করা হয়েছে তার লোকেশন নির্ণয় করে। এভাবেই মূলত রেজিস্টিভ টাচ স্ক্রিন কাজ করে।



ক্যাপাসিটিভঃ

ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন টাচ করার মুহূর্তে ক্যাপাসিট্যান্স নির্ণয় করার মাধ্যমে কাজ করে। ক্যাপাসিট্যান্স দ্বারা বোঝায় কোনো বস্তু কতটা বিদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয় করতে পারে সেটা। আপনার শরীর এবং আপনার যে আঙ্গুল দিয়ে টাচ করবেন তারও ক্যাপাসিট্যান্স আছে। আপনি দখল আঙ্গুল দিয়ে স্ক্রিন টাচ করেন তখন আপনার আঙ্গুলের ক্যাপাসিট্যান্স স্ক্রিনের সেই স্থানের ক্যাপাসিট্যান্স এর সাথে যোগ হয়ে যায়। টাচ স্ক্রিনের কন্ট্রোলার ক্যাপাসিট্যান্স এর এই পরিবর্তন পরিমাপ করার মাধ্যমে কোন স্থানে টাচ করা হয়েছে তার অবস্থান নির্ণয় করে।


ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রীন রেজিস্টিভ টাচ স্ক্রিনের থেকে বেশি সেনসিটিভ কেননা এতে রেজিস্টিভ টাচ স্ক্রিন এর মতো কোনো চাপ পরার দরকার নেই, শুধুমাত্র স্পর্শ হলেই হয়ে যায়। ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের অধিক সেনসিটিভিটির কারণে সাধারণত বেশি ব্যবহৃত হয়।


আরো কিছু অন্য ধরনের টাচ স্ক্রিনও রয়েছে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সারফেস অ্যাকস্টিক ওয়েভ (SAW) টাচ স্ক্রীন এবং ইনফ্রারেড টাচ স্ক্রিন। SAW টাচ স্ক্রিন এর ক্ষেত্রে স্ক্রিন এর সারফেস দিয়ে সাউন্ড ওয়েভ পাঠানো হয় এবং কোন অবস্থান থেকে ওয়েভ প্রতিফলিত হচ্ছে সেটা নির্ণয় করার মাধ্যমে টাচ করার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। ইনফ্রারেড টাচ স্ক্রিন এর ক্ষেত্রে স্ক্রিন এর সারফেস বরাবর ইনফ্রারেড লাইট বিম পাঠানো হয় এবং কোন স্থানে লাইট বিম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সেটা নির্ণয় করে টাচ করার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

avatar
+৩ টি ভোট
32 বিট এবং 64 বিট প্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য কি?

বর্তমানে কম্পিউটারে প্রধানত দুই ক্যাটাগরির প্রসেসর রয়েছে। যা হচ্ছে 32-বিট প্রসেসর এবং 64-বিট প্রসেসর। এই দুই ধরনের কম্পিউটার প্রসেসর ভিন্ন রকমের পার্ফর্মেন্স প্রদান করে।


32-বিট এবং 64-বিট প্রসেসরের প্রধান পার্থক্য হলো একবারে কতটা ডেটা প্রসেস করতে পারে সেই ক্ষমতা। যেমন একটি 32-বিট এর প্রসেসর একবারে 32 বিট ডেটা প্রসেস করতে পারে, যেখানে একটি 64 বিট প্রসেসর করে 64 বিট ডেটা।


দুই প্রসেসর এর আরো একটি বড় পার্থক্য হলো এদের র্যাম হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা। কত বিট এর প্রসেসর কি পরিমান র্যাম হ্যান্ডেল করতে পারবে সেটা হিসেব করা হয় 2n এই সূত্রের সাহায্যে, এখানে n হলো বিট এর সংখ্যা। এই হিসেবে একটি 32-বিট এর প্রসেসর মাত্র 4 GB ( 4 গিগাবাইট) র্যাম হ্যান্ডেল করতে পারে। অপরদিকে একটি 64-বিট প্রসেসর যে পরিমান র‌্যাম হ্যান্ডেল করতে পারে সেটা কল্পনাও করেননি কখনো। থিওরিটিক্যালি একটি 64-বিট প্রসেসর 16 EB (16 এক্সাবাইট) র‌্যাম হ্যান্ডেল করতে পারে যা 16 মিলিয়ন টেরাবাইট বা 16 বিলিয়ন গিগাবাইট।


উল্লেখ্য, একটি 32 বিট প্রসেসর এর কম্পিউটার শুধু 32 বিট অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রাম রান করতে পারে। এটি 64 বিট এর প্রোগ্রাম চালাতে সক্ষম নয়। তবে 64 বিট এর প্রসেসর কিন্তু 32 বিট চালাতে পরে।
avatar
+৪ টি ভোট
আধুনিক কম্পিউটার আসার আগে কিভাবে ভিডিও এডিট করা হতো?
ডিজিটাল যুগ এর আগে ক্যামেরা গুলো ছিলো অ্যানালগ। সে সময়ফুটেজ ধারন করার জন্য ফিল্ম ব্যাবহার করা হতো। 

সে সময় এডিট করা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। সবকিছু ম্যানুয়ালি করতে হতো। ফুটেজ থেকে কোন কিছু রিমুভ করতে হলে ফিল্ম এর নির্দিষ্ট ফ্রেম কেটে ফেলতে হতো। এভাবে প্রতিটি ফ্রেম দেখে দেখে এডিট করা লাগতো। 

যদিও এভাবে অবশ্য সময় সাপেক্ষ। তবে মূলত এভাবেই অতিতে কম্পিউটার বিহীন এডিট এর কাজ গুলো করা হতো।
avatar
+২ টি ভোট
সিএমএস (CMS) কি? সিএমএস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে?

সিএমএস (CMS) এর পূর্ণরূপ কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি এমন সফটওয়্যার যা আপনাকে সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের সকল কনটেন্ট ম্যানেজ করার সুবিধা করে দেয়। একটি সিএমএস ওয়েবসাইটে ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যানেজ করার জন্য সকল সুবিধা প্রদান করে। কোনো ছোটখাটো ব্লগ থেকে শুরু করে অনেক বড় ইকমার্স ওয়েবসাইট পর্যন্ত যেকোনো ওয়েবসাইট সিএমএস ব্যবহার করে পরিচালনা করা যেতে পারে। বর্তমানে অনেকগুলো জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হয়। এই ওয়েবসাইটে question2answer নামক একটি CMS ব্যবহার করা হয়েছে, এটা সাধারণত প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এমনকি সিএমএস ব্যবহার করে এক লাইন কোডিং না জেনেও ওয়েবসাইট তৈরী করা সম্ভব।


কিছু জনিপ্রিয় সিএমএস

  1. ওয়ার্ডপ্রেস: বর্তমানে সকল ওয়েবসাইটের প্রায় 40% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি করা। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কোনো কোডিং এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই কয়েক মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।
  2. জুমলা: জুমলা একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স সিএমএস। এটা বিশেষ করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন এবং ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। জুমলার ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান এর প্রয়োজন হয়।
  3. ড্রুপাল: এটি একটি সিকিউর কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি বিশেষ করে কমপ্লেক্স ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরো দেখতে, এই বিভাগের সকল প্রশ্ন দেখুন

২৮৮ টি প্রশ্ন

২৭৬ টি উত্তর

২৯ টি মন্তব্য

৪৫ জন সদস্য

এই মাসের সেরা সদস্যগন

  1. avatar

সাম্প্রতিক ব্যাজ সমুহ

whoever ১৫ ৬৪ ২৩০ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
easoyeb ১৩ ৬০ ২৩৩ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever ১৫ ৬৪ ২৩০ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
whoever ১৫ ৬৪ ২৩০ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
easoyeb ১৩ ৬০ ২৩৩ একটি ব্যাজ পেয়েছেন
...